বিশেষ প্রতিনিধি
“বাবা হত্যার ফাঁসি চাই” বাবা হত্যার মূলহোতা মাস্টার মাইন্ড পরিকল্পনাকারীদের বিচার ও ঘাতকদের শাস্তির দাবিতে প্রধান সড়কে নেমেছে ৪বছরের শিশু পরিবারসহ এলাকাবাসী। বিষয়টি আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলেও এখনো অপরাধীরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
৭জুলাই,শুক্রবার,চট্টগ্রাম নগরীর নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকার আজাদুর রহমান আজাদের হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর আয়োজিত মানববন্ধনে তার ছোট শিশুসন্তান টুনির উপস্থিতিতে তৈরি হয়েছে এমনই এক আবেগঘন দৃশ্য।
যে বয়সে তার অন্য হেসে খেলে বিনোদন অন্য শিশু খেলার সাথীদের সাথে খেলে বেড়ানোর সময়,সেই বয়সেই রাস্তায় সকলের সাথে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে। যা-কিনা বেদনাদায়ক নির্মম এক উপলক্ষ,”বাবা হত্যার ফাঁসি চাই”ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে!
বিচারের দাবিতে হলিশহর নয়াবাজার এলাকার সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজের আয়োজনে বিশ্বরোড সড়কে ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। সেখানে নিহতের মেয়ে আফরিন ৭বছর বয়সী তার ছোট বোন টুনি আক্তার,৪বছর বয়সীকে কুলে নিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বিচারের দাবি জানায়।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে,নগরের পাহাড়তলী থানার নয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরী আজাদুর রহমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত আবু তাহের রাজীব’সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তগগতগদ
সোমবার (২৯ মে) রাঙামাটি জেলার কোতয়ালী থানা একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৩জন ও নগরের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, আবু তাহের রাজীব (২৩), দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), মো. রায়হান সজীব (২২) ও আবুল হাসনাত রানা (৩০)।
গত ২৮ মে,দিবাগত রাত সাড়ে বারটার দিকে একব্যক্তি নগরের নয়াবাজার এলাকার একটি কারখানার গেইটের সামনে প্রশ্রাব করলে কারখানার নৈশপ্রহরী আজাদুর রহমানের বড় ভাই মফিজ তাকে বাধা দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যাক্তি মফিজকে বলে,‘এটা সরকারি জায়গা তুই বাধা দেওয়ার কে’এই বলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামি আবু তাহের রাজীব, ফয়সাল,আবুল হাসান আরো ১০/১২ জনসহ জায়গায় এসে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়।
বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে আজাদুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে তার সঙ্গেও কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে আসামিরা দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আজাদুর রহমান দোকান থেকে নাস্তা আনার জন্য বাসা হতে বের হয়। তিনি নগরীর পাহাড়তলী থানার নয়াবাজার পৌছালে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি পেটে,পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ছুরিকাঘাতে আজাদের পেটের ভুরি বের হলে চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে মৃত্যু হয়। আজাদের স্ত্রী বাদী হয়ে নগরের পাহাড়তলী থানায় ৪জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে।
মোহাম্মদ তারেক রহমান বলেন,আমার চাচা আজাদ কে যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে এজাহার ভুক্ত তিনজন আসামীকে গ্রেফতার হয়েছে। আরেকজন এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে যে তিন জনকে ধরা হয়েছে তাদের স্বীকারোক্তি বলা হয়েছে,তাদের সাথে আরো দুজন ছিল টনি ফাহিম ও টনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফাহিমকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। সুতরাং যার হুকুমেতে আমার চাচাকে হত্যা করা হয়েছে,তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটনএর ছোট ভাই আব্দুল মান্নান খোকন এর অনুসারী আমার চাচাকে হত্যা করে। প্রশাসন যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। খোকন কে আইনের আওতায় আনার জন্য আমার চাচা খুনের পর খোকন বাহিরে পালিয়ে যায় কিন্তু সে কিছুদিন পর দেশে ফিরে জন্মদিন পালন করতেছে তাকে ধরার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
যথেষ্ট প্রমাণিত হয় যে খোকন এই খুনের সাথে সংযুক্ত ছিল তিনি হুকুমদাতা খুনের পরবর্তী এবং পূর্ববর্তী সময় আসামিদের সাথে খোকনের যোগাযোগ ছিল এটা আমার কথা না ডিসি আলী হোসাইন স্যার নিজেই বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে,খোকন অপরাধী না হইতো তাহলে আমাদের দুইটা ব্যানার ছিঁড়ে নিয়ে যাইতো না এবং আমাদের ব্যানারের উপর তারা ব্যানার মারতো না আরেকটা কথা আমরা রাস্তায় চলাফেরা করি আমাদের ফ্যামিলির কোন সদস্য যদি কোন দুর্ঘটনা হয় এর দায়বদ্ধ আব্দুস সবুর লিটন এবং তার ভাই হবে। ওদের টাকা আছে ওরা যে কোন মুহূর্তে যেকোনো কিছু করতে পারে।
নিরাপত্তা প্রহরী আজাদ’কে প্রাণ দিতে হলো অনিরাপদ জীবন সমাজ মানুষখেকো রক্তচোষা ঘাতকদের হাতে। প্রতিপক্ষ কাউন্সিলরের ভাই ও ক্ষমতাবান হওয়াতে রহৎস্য জনকভাবে রয়ে গেছে প্রশাসনের ধরাছোঁয়া নাগালের বাহিরে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply