ওসমান গনি,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা চলন্ত বাসে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই চালক রাব্বি(১৭)উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং হেলপার ইয়ামিন(১৫)একই ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মরহুম মনির হোসেনের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী জানান,তিনি গজারিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুল শেষ করে দুপুর আড়াইটার দিকে বাউশিয়া চর বাউশিয়া মধ্যমকান্দি তার বাড়িতে ফেরার জন্য মেসার্স আর এম ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির একটি মিনি বাসে ওঠেন। ওই সময় বাসটিতে ছয়-সাতজনের মতো যাত্রী ছিল। বাসটি এক-দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর বাস থেকে তিনি ছাড়া অন্য সকল যাত্রী নেমে যায়।বাসে কোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসের চালক এবং হেলপার তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে।একপর্যায়ে তার হাত ধরে টানা হেঁচড়া শুরু করে তারা।এ সময় তাদের সাথে স্বামী-স্ত্রীর মতো আচরণ করতে বলে এবং তাদের কথা না শুনলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।চলন্ত অবস্থায় চালক বাসটি মধ্যমকান্দিতে না থামিয়ে তাকে চর বাউশিয়া এলাকার মাজারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।ওই সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে তারা তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। পরে একজনের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে তিনি তার বাড়িতে ফোন করে ঘটনা খুলে বললে তার চাচা ৯৯৯-এ পুলিশের সহায়তা চান।
বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর চাচা জানান, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে? বাসটিতে কোনো নম্বর প্লেট নেই,শুনেছি বাসটির রুট পারমিটও নেই।চালক ও হেলপারের যে বয়স,তাতে মনে হয় তাদের লাইসেন্সও নাই।
বিষয়টি সম্পর্কে বিআরটিএ মুন্সীগঞ্জের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম তুষার বলেন,এ পরিবহনের গাড়ির রুট পারমিট নেই।দ্রুতই আমরা এই সমস্ত গাড়ির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোল্লা সোহেব আলী বলেন,এ ঘটনায় বাসটির চালক,হেলপার এবং বাসটি আটক করা হয়েছে।গাড়িটির কোনো নম্বর প্লেট ছিল না এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply