নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মৃত আবুল হাসেম চৌধুরীর ছেলে মোঃকামরুল চৌধুরীর স্ত্রী নাদিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গাজীপুরে মামলা করলে উক্ত জমিতে, আদালত ১৪৫ধারা জারি করে দেয়।
ভুক্তভোগী কামরুল চৌধুরীর মেজো ভাই জামাল চৌধুরী বলেন,২০০৯সালে আমার বড় ভাই মৃত জয়নাল চৌধুরী এই জায়গা বিক্রি করে আবু সাইদ নামের এক ব্যাক্তির কাছে।সেখানে জয়নাল চৌধুরী ও আমার এক বোন ফরিদা খাতুন রেজিষ্ট্রি করে দেয়।পরবর্তী আবু সাইদ ঐ
বছরই জমি বিক্রি করে দেয় হাবিবুল হাসান মাহাবুবুর রহমান এর নিকট।
হাবিবুল হাসান মাহবুবুর রহমান সেই ক্রয়কৃত ৭০শতাংশ জমির খাজনা খারিজের জন্য আবেদন করেন,এবং তার বিপরীতে ২০০৯সালে একটি মিসক্যাস মামলা দায়ের করেন,আর আদালত থেকে ২০১০সালে সেই মিসক্যাসের রায় পান হাবিবুল হাসান মাহবুবুর রহমান এবং সঠিক ভাবে খাজনা খারিজ দিয়ে আসছে, সেই অবস্থায় ২০২৩সালে খাজনা খারিজ সহ কামরুল চৌধুরীর কাছে জমি বিক্রি করেন।এবং কামরুল চৌধুরী জমি ক্রয় করে খাজমা খারিজ নিজ নামে পরিশোধ করে।
এক যুগের অধিক সময় ধরে এই জমির মালিক হাবিবুল হাসান মাহবুবুর রহমান, ২০২৩সালে হাবিবুল হাসান মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে কামরুল চৌধুরী উক্ত জমি ক্রয় করে।
জীবিকার তাগিদে কামরুল চৌধুরী ইতালি প্রবাসী থাকা অবস্থায় শফিকুল চৌধুরী ঐ জমিতে ইট বালি নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে।এবং শফিকুল চৌধুরী একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়,আর সেই সাইনবোর্ডে উল্লেখ করে সে নাকী ২১.৭০শতাংশ জমির মালিক। কামরুল চৌধুরী প্রবাসী থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী নাদিয়া বাধা দিলে লোকজন নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় শফিকুল চৌধুরী।
এই বিষয়ে শফিকুল চৌধুরী বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনার স্হল পরিদর্শন করে, এবং দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা করার জন্য নির্দেশ দেন।কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হলে ১৪৫ ধারা জারি করে দেই আদালত।
মোটোফোনে প্রবাসী কামরুল চৌধুরী জানায়,এক যুগের অধিক সময় ধরে এই জমি আমার ভাই মৃত জয়নাল চৌধুরী বিক্রি করে দেয়,তখন আমার আরেক ভাই শফিকুল চৌধুরী কোন বাধা দেয় নাই,কিন্তু আমি যখন আবার এই জমি ক্রয় করি, তখন থেকে শফিকুল চৌধুরী ও তার লোক জন নিয়ে জোড়পূর্বক জমি বেদখল করার পায়তারা করছে।অবশেষে আমি আদালতের স্বরাপন্য হতে বাধ্য হয়েছি।এখন আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে আমি তা মেনে নেবো।তবে যেহেতু এই জমির উপর ১৪৫ধারা জারি করা হয়েছে, তাহলে এখনো কি ভাবে লোকজন নিয়ে শফিকুল চৌধুরী স্হাপনা নির্মান করে আছে,এবং এলাকায় মাদক সেবন কারী কিছু লোক জন নিয়ে রাতে মাদক সেবনের ঘাঁটি তৈরী করেছে।
তিনি আরোও বলেন,আমার স্ত্রী ও সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে, প্রতি রাতে সেখানে লোকজন নিয়ে পাহারা দেয়,সোনাব গ্রামের, রফিকুল ইসলাম খোকন (শেখ),মোকসেদুল ইসলাম বাবুল (শেখ),মিজানুর রহমান ওরফে(ঝুলা মিজান) সহ সফিকুল চৌধুরীকে দেখা যায় বেদখলে।এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট কিছু তথ্য ছড়াছড়ি করে আমার মানহানি করছে।
এই বিষয়ে সফিকুল চৌধুরীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন জমি বেদখল করেনি,আমার পৈত্রিক সূত্রে ও
ক্রয়কৃত জমি দাবি করছি,আর যেহেতু উক্ত জমিতে ১৪৫ধারা জারি করেছে, সেহেতু আদালতের রায় মেনে নিতে আমি বাধ্য।১৪৫ধারা জারি অবস্থায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমিতে প্রবেশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইট,বালু,সহ নির্মাণাধীন মালামাল সামগ্রী দেখা শুনার জন্য প্রবেশ করি।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply