স্টাফ রিপোর্টার।
চট্টগ্রামে সাংবাদিক মারধরে ফেঁসে গেল এমপি মোস্তাফিজুর। সাংবাদিককে মারধর-নাজেহাল হেনস্তা
গালিগালাজ,কিল-ঘুষি,প্রাণনাশের হুমকি’সহ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন অপরাধে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
সাংবাদিক হেনস্তার মারধরের বিষয়টি সবার নজরে আসে। সেইসাথে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও সবার অনুভূতিতে নাড়া দেয়। পেশাগত কাজে জড়িত সাংবাদিকের গায়ে হাত দেওয়া মারপিট করা। যা অবাক বিস্মিত অদ্ভুত পরিস্থিতি পরিনিতির ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে।
ঘটনার জড়িত অভিযুক্ত ক্ষতাআসীন দলের এমপি দলীয় মনোনীত প্রার্থী। এলাকা কেন্দ্রিক নানা আলোচিত সমালোচিত ঘটনায় ও নতুন করে সাংবাদিক হেনস্থার ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে।যা ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত নীতিবাচক প্রশ্নে প্রকাশিত হয় জতীয় পত্রিকা,গণমাধ্যম,সোশ্যাল মিডিয়া সহ মানুষের মুখেমুখে। প্রশ্ন উঠেছে জনমনে জনপ্রতিনিধি হয়েও কি করে হাত তুলে তাও আবার সাংবাদিকের গায়ে। আর সাধারণ মানুষ কতটুকু নিরাপদ বর্তমান পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতি প্রেক্ষাপটে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে বাঁশখালীর নির্বাচনী কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সাংবাদিকদের মারধর নাজেহালের অপরাধে নির্বাচনী আচরন বিধি আইনের ৮(খ) ধারায় মোস্তাফিজুর রহমান নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি ২০০ ধারায় বাদী হারুন মোল্লার জবানবন্দি গ্রহণ করে ও রির্টানিং অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ৩ জানুয়ারি মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমার সময় তার সঙ্গীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
এ সময় অধিক লোক সমাগম করে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেন মোস্তাফিজ।এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে গালিগালাজ ও কিল ঘুষি মারেন এরপর সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর তদন্ত করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনপর সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন নির্বাচণী অনুসন্ধান কমিটি। একই সঙ্গে আসামীর বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সিদ্ধান্ত দেন নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী সাংবাদিক চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগটির তদন্ত করেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান। তিনি ৩ ডিসেম্বর ওইদিনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন। গত ৩০ নভেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষযে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিককে গালিগালাজ ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply