মোঃ নিজাম উদ্দিন সিলেট থেকে
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমন্ত দিয়ে প্রতি রাতেই চোরাই পথে অবৈধ ভাবে আসছে অসংখ্য ভারতীয় গরু-মহিষের চালান। এ সুযোগ-কে কাজে লাগিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় জমজমাট হয়ে উঠছে অবৈধ গরু-মহিষের ব্যবসা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় খামারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব গরু-মহিষের পেঠে করে দেশে আনা হচ্ছে মাদকদ্রব্য। এ কারণে সক্রিয় হয়ে উঠছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে চোরাই পথে আসা ভারতীয় এসব অবৈধ গরু-মহিষের চালান থেকে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়ে বাওন হাওড় গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়া- উরফে গুইল্লা ফরিদ’র ছেলে মো.মুজিবুর রহমান’ ও তার সহযোগী একই গ্রামের সাঈদ আলীর ছেলে মো.নজরুল ইসলাম নিয়োমিত চাদা আদায় করছে এমন অভিযোগও রয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় শেওলারটুক এলাকার আব্দুল বাছেদ মিয়া বলেন,মুজিবুর রহমান ভারত থেকে চোরাই পথে আসা গরু-মহিষ,চিনি,চাপাতা,কসমেট্রিকস,মাদকদ্রব্যেও চালান থেকে পুলিশের লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে চাদা উত্তোলন করে আসছে। এছাড়াও বিগত সময়ে সারি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনলনের (ড্রেজার) বোমা মেশিনের নৌকা থেকে নিয়োমিত চাদা উত্তোলন করত: তাকে নিয়োমিত চাদা না দিলে থানা পুলিশ দিয়ে নৌকা আটক করে বিভিন্ন মামলা-হামলার ভয় দেখায়।জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি,আলু বাগান শ্রীপুর সীমান্ত দিয়ে যেসব ভারতীয় অবৈধ পণ্য যেমন গরু-মহিষ,কসমেট্রিকস,মাদক,চিনি,চাপাতা,ট্যান্ডু পাতার নাসির বিড়ি, নাসিম বিড়িসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর চালান থেকে প্রতি রাতেই জেলা ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়ে চাদা উত্তোলন করে। মুজিব সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য প্রতি রাতে শেওলারটুক ও বাওন হাওড় এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।মুজিবের অস্ত্রের মহড়ার বিষয়ে এলাকার অনেকেই অবগত রয়েছেন।এবিষযে আমি জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমি ২নং জৈন্তাপুর ইউপির সদস্য আব্দুল কাদের-কে অবগত করেছি।এবিষয়ে স্থানীয় বাওন হাওড় গ্রামের মো.মুকবুল মিয়া বলেন,মুজিব থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে,ভারত থেকে চোরই পথে আসা অবৈধ মালামাল থেকে চাদা তুলে এলাকায় আদিপাত্য বিস্তার করে এলাকার মানুষকে থানা পুলিশের ভয় দেখায়, একারণে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করেনা। এলাকায় কোন কিছু করতে গেলে মুজিব-কে টাকা দিতে হয় টাকা না দিলে এলাকার মানুষকে নানা ভাবে হয়রানি করে।আমার নিজের জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করেও মুজিব-কে দফায়-দফায় অনেক টাকা চাদা দিতে হয়েছে।কেন আপনী মুজিব-কে চাদা দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুকবুল মিয়া প্রতিদেক-কে বলেন,চাদা না দিয়ে কোন উপায় নেই,মুজিব আমাকে নিয়ে ৩দিন থানায় গেছেন ওসি স্যারের সাথে দেখা করাতে,কিন্তু ওসি স্যারের সাথে দেখা না করিয়ে,থানার গোলঘরে মুস্তাফিজুর স্যারের সাথে দেখা করান এসময় মুস্তাফিজুর স্যার বালু উত্তোলনের প্রতি ফুট হিসেবে একটা রেট নির্ধারণ করে দেন।ওই রেট হিসাব করে আমিসহ অন্যান্য নৌকার মালিকরাও মুজিব-কে নিয়োমিত চাদা দিয়ে বালু উত্তোলন করেছি। একবার টাকা দিতে একটু দেরি হওয়ার কারণে থানা পুলিশ এনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করায় আমাকে মানসিক ভাবে অনেক টর্চার করে বিষয়টি আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনি,আমি থানা পুলিশের নামে টাকা দেওয়ার পরও কেন? আমার উপর এমন অত্যচার। পরবর্তীতে আমি মুজিব’র কাছে যাই,মুজিব আমাকে নিয়ে আবার থানায় যায় ওসি স্যারের সাথে দেখা করাতে পরবর্তীতে ওসি স্যারের সাথে আমার দেখা হয়নাই। এব্যাপারে স্থানীয় বাওন হাওড় গ্রামের মো.আলম মিয়া জানান,আমরা গরীব অসহায় মানুষ,একটি নৌকা ভাড়ায় এনে সামান্য বালু উত্তোলন করে কোনমতে আমাদের সংসার চালাচ্ছিলাম,এমন সময় থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে মুজিব আমার বালুর নৌকা থেকে পুলিশের নাম করে নিয়োমিত চাদা নিয়েছে। সে ভারতীয় চোরাই পথে আসা বিভিন্ন পণ্য সমগ্রী,গরু-মহিষ,চিনি,মাদক,চাপাতা,কসমেট্রিকসের চালান থেকে নিয়োমিত চাদা আদায় করে আসছে।প্রতিবাদ করলে মুজিব বিভিন্ন মিথ্যে মামলা হামলার ভয় দেখায়।পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়দানকারী মুজিব কি? এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়? এমন প্রশ্নের জবাবে আলম মিয়া বলেন বিষয়টি আমি দেখিনি তবে এলাকার অনেকের কাছে শোনেছি। স্থানীয় বাওন হাওড় এলাকার মো.জয়নাল মিয়া বলেন, মুজিব থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে চোরাচালানের মালামাল থেকে নিয়োমিত চাদা তুলে এ বিষয়টি এলাকার সবারই জানা আছে। আমার বালুর নৌকা থেকে থানা পুলিশের নাম করে অন…
[8:22 PM, 1/18/2024] MD Dulal Hossain Raju: এটা টিভির নিউজ
[8:23 PM, 1/18/2024] MD Dulal Hossain Raju: জৈন্তাপুর সীমান্তে দিয়ে প্রতি রাতে চোরাই পথে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষ।
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমন্ত দিয়ে প্রতি রাতেই চোরাই পথে অবৈধ ভাবে আসছে অসংখ্য ভারতীয় গরু-মহিষের চালান। এ সুযোগ-কে কাজে লাগিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় জমজমাট হয়ে উঠছে অবৈধ গরু-মহিষের ব্যবসা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় খামারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব গরু-মহিষের পেঠে করে দেশে আনা হচ্ছে মাদক। এ কারণে সক্রিয় হয়ে উঠছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে চোরাই পথে আসা ভারতীয় এসব অবৈধ গরু-মহিষের চালান থেকে ডিবি পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়ে বাওয়ন হাওড় গ্রামের সাঈদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ও থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়ে একই গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান’র বিরুদ্ধে চাদা আদাযের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ,মুজিবুর রহমান পেশায় একজন পাথর শ্রমিক,অভাব অনটনের মধ্যে খেয়ে না খেয়ে দিন চলত তার।গত কয়েক বছরে থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়ে চাদাবাজি করে হয়েছে অঢেল সম্পদের মালিক।এলাকার একাধিক লোকজন বলেন,স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সুসর্ম্পক থাকার কারণে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়দানকারী নজরুল ও মুজিব রয়ে গেছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply