সেলিম মাহবুব,সিলেটঃ
১৬ই ডিসেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সময়ের বিচিন্তা পত্রিকায়” সিলেট যুব মহিলা লীগের নেত্রী লাকীর ব্ল্যাক মেইলে অতিষ্ঠ মানুষ” শিরোনামে এবং ৩-৯ ফেব্রুয়ারি সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকায় “বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কথিত লাইভার লাকী মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি লাকীর দৃষ্টিগোচর হলে ভিন্নমত পোষন করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক লাকি আক্তার। দুটি পত্রিকা মিথ্যা তথ্যে প্রতিবেদকের নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মনগড়া বক্তব্যে মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করছে। তিনি বলেন পারিবারিক বিষয়টিকে এবং তাদের অপকর্ম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মামলাবাজ রুমন-রাসেল মহৎ পেশা সাংবাদিকতার ইমেজ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে, তারই ধারাবাহিকতায় সময়ের বিচিন্তা এবং তাদের নিজের বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকায় সংবাদ ছাপায়। শুধু তাইনা বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মামলাবাজ রুমন রাসেল একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমি সাংবাদিক লাকি আক্তারকে সামাজিকভাবে হয়রানী করে সম্মান হানি করছে। নিন্মে দুটি পত্রিকার সংবাদের কিছু ভূল পাঠকের উদ্দেশ্য তুলে ধরা হলো। আমি কারো বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা মামলা করিনি,আমি সত্য ন্যায় বিচারের আশায় সাধারণ ডায়রী ও অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে ৪-৫ মাস নয়,দীর্ঘ ১৮ মাস একটানা চাকুরি করেছি, আমাকে কোন বেতন ভাতা দেওয়া হয় নাই বরং কোন কারণ ছাড়াই বিনা নোটিশে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা কাল্পনিক ও বানোয়াট অপবাদ সাজিয়ে ২৬/৮/২৩ ইং,তারিখে আমার একক ছবি দিয়ে তাদের বৈচিএ্যময় সিলেট থেকে বহিষ্কার করে। যাহা সাংবাদিক আইনের নিয়ম নীতির মধ্যে পড়ে না, অথচ আমি নিজের সম্মান রক্ষায় অব্যাহতি নিয়েছি। আমাকে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার ১টি আইডি কার্ড ও একটি বোম দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি, কিন্তু তাদের অসৎ উদ্দেশ্যর কারণে আমাকে ওই পত্রিকার নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় নাই, এবং লোক দেখানোর জন্য একই বছরের শেষের দিকে সিলেট রংমহল টাওয়ার এর ২০৮ নং অফিসে দ্বিতীয় তলায় এক লাইভ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আইডি কার্ড ও বোমটি আমার হাতে তুলে দেয়, পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন। নিজের অফিস না থাকায় অন্যজনের অফিসকে নিজের পত্রিকা অফিস বলে দাবী করে, অন্যজনের নামে ডিড করা অফিসটি বেআইনি ব্যবহার করে যাহা তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে। আমাকে কোন স্টেন্ড দেওয়া হয় নাই এবং আমি যখন অব্যাহতি পত্র দেই তখন অব্যহতি পত্রে লিখে দিয়েছি তাদের দেওয়া বোমটি নষ্ট হয়ে গেছে, ও আইডি কার্ডটি ফেরত দিয়েছি, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পত্রিকার মামলাবাজ সম্পাদক আইডি কার্ড ফেরত পেয়েও বোম নষ্ট হওয়ার কথা জেনেও এবং স্ট্যান্ড না দিয়ে প্রতারণা মূলকভাবে শুধু আমাকে হয়রানী করতে সিলেট এডিএম আদালতে বোম, স্টেন্ড ও আইডি কার্ড উদ্ধার করতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। যাহার নম্বর ৪০/২৩। ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি দুপুরে কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি টিম বোম, স্টেন্ড ও আইডি কার্ড উদ্ধার করতে আমার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কোন কিছু পায়নি। যখন তারা আমার বাসায় গিয়ে আমাকে ফোন দেয়, তখন আমি বলি আপনারা তল্লাশি করে দেখেন আমি ডিসি অফিসে মিটিং এ আছি। ডিসি অফিসে মিটিংয়ের ছবিগুলো আমার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেছি ঐ তারিখে। আমার আইডি দেখলেই সত্যতা বের হবে, আমি সত্য বলছি মামলাবাজদের মতো মিথ্যাবাদী নই। আমার স্বামী মামলাবাজ নুরুদ্দীন রাসেল কাবিন ছাড়া প্রতারণা করে আমাকে বিয়ে করে। সেই বিয়ের কাবিন নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হলে, আমি বিষয়টি আবুল কাশেম রুমনকে জানালে, সে সুযোগ সন্ধানী হয়ে আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়, যাহা আমি মানতে পারিনি। আমি তাহার প্রস্তাব না মানায় ঐদিন রাত অনুমান ১২:৫৫ ঘটিকার সময় আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। তখন আমি ওই রাতেই বিষয়টি বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সহ-সম্পাদক আয়কর আইনজীবী জহিরুল হক রিপনকে অবগত করি। পরে ২৪/৮/২৩ইং সকালে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি, যাহার নং- ২৭৪০/২৩। এই সাধারণ ডায়েরীর কপিটি আমার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করলে, মামলাবাজ আবুল কাশেম রুমন ৩০/৮/২৩ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে, যাহার নাম্বার, ১৬৬/২৩, পিবিআইতে তদন্ত চলছে। আমি কোন কলোনীতে থাকি না, আমি ৩৩ বছর যাবৎ মুন্সি পাড়া এলাকায় আছি, আমার বিয়ের পর আমার স্বামী আমাকে নিয়ে কাজলশাহ এলাকায় বসবাস করতেন,সেখানেই আমার ১ মাত্র সন্তানের জন্ম। ২৯ আগসট মামলাবাজ রুমন এর সাথে আমার কোন দেখা হয়নি অথচ একইদিন ২৯/৮/২৩ ইং তারিখে হয়রানী করার জন্য আমার বিরুদ্ধে, মিথ্যা ডায়রী করে, যাহার নং ১৫৪৬/২৩ শুধু তাইনা মামলাবাজ সম্পাদক তার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নদীমুল্লাহ কামালকে দিয়েও আমার নামে আরেকটি মিথ্যা ডায়রী করায়, সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায়, যাহার নং ৫৮৬/২৩ইং। কামাল তার অফিসে আমাকে ডেকে নেয় সহপাঠী হিসেবে, সেও মামলাবাজ রুমন এর পত্রিকায় কাজ করে।সেখানে নেওয়ার পর শালীনতার মধ্যে কতা বার্তা হয়। সেই কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে এবং আমি সত্য বলায়, মামলা বাজ রুমন রাসেল এর কুচক্রে পড়ে, রুমন বাদী হয়ে নির্বাহী আদালতে আমার বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে, মামলা নং ৩০১/২৩ইং। এই মামলায় ওয়ারেন্ট হয়ে, ১ রাতের জন্য আমাকে হাজত বাস করতে হলো। আমাকে কোন সমন পাঠানো হয়নি, আমি জানতাম ও না, এর খেসারত হিসেবে আমাকে আমার দল ভূল বুঝে সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করে। আমার মহানগর এর ১ নেত্রী রাসেল রুমনের কাছের মানুষ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মামলাবাজ রুমন, রাসেল আমার দলের এক নেত্রীকে গ্রাস করে ফেলেছে।
Leave a Reply