সেলিম মাহবুব,সিলেট:
বুধবার সিলেট বিভাগের যে কটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সকল উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ শেষে রেজাল্ট সন্ধ্যা ৭ টা সাড়ে ৭ টার মধ্যেই হয়েছে। সব এলাকায় ভোট কাষ্টিং কম হওয়ার কারণে খুব তাড়াতাড়ি গণনা ও রেজাল্ট প্রদান সম্ভব হয়েছে। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের বিজয়ী চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয় রাত ১ টায়। সিলেটের অন্যন্য উপজেলার ফলাফল রাত সাড়ে ৭টার দিকে পাওয়া গেলেও বিশ্বনাথ উপজেলার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে রহস্যজনক কারণে বিলম্বিত হচ্ছিল। পরে বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত ১ টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তী। ঘোষিত ফলাফলে বিশ্বনাথ উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান মোহাঃ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৩২২ ভোট। তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৯৬৮টি ভোট পেয়েছেন। জানা গেছে, রাত ৮ টার ভেতরেই উপজেলার ৭৪ টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৫ টির ফলাফল মিলে যায়। কিন্তু এ সময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইটিং কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন নোয়ারাই কেন্দ্রে ভোগ গণনা শেষে প্রিজাইটিং কর্মকর্তা তড়িঘড়ি করে ফলাফলের কাগজে কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর না নিয়ে চলে আসেন। কিন্তু রাত ৯ টা পর্যন্তও তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে না পৌঁছালে কর্মকর্তা তাকে পুলিশ পাঠিয়ে নিজ বাসা থেকে ডেকে আনেন। উপজেলায় আসার পর তিনি নোয়ারাই কেন্দ্রের রেজাল্ট শিট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দিলে এতে দেখা যায় শিটে কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর নেই। কাগজে ভোট সংখ্যা এবং গণনা শেষে কেন্দ্রে ঘোষণার সংখ্যার মধ্যে ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে রাত ১ টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে তিনি সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে সমাধানের জন্য আলোচনা করেন এবং পরে ফলাফল ঘোষণা করেন। বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী লড়াই করেছেন। তারা হলেন যুক্তরাজ্য ডরসেট আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল রোশন চেরাগ আলী (ঘোড়া), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোহাঃ সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ) উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী গৌছ খান (কই মাছ), উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দুছ আলী (হেলিকাপ্টার), যুক্তরাজ্যস্থ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্বনাথ স্পোটর্স ডেভোলাপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকের যুগ্ম সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো.সেবুল মিয়া (দোয়াত-কলম) , যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য ও যুব লীগের সহ সভাপতি প্রবাসী শমসাদুর রহমান রাহিন (শালিক), যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এস.আলী চৌধুরী এনামুল হক (মোটর সাইকেল), জেলা পরিষদের সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (আনারস), যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন (উট) এবং বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন (টেলিফোন)।
Leave a Reply