স্টাফ রিপোর্টার :
সরকারি চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় থাকার বিধান না থাকলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে একই কর্মস্থলে প্রায় দুই যুগ ধরে চাকুরি করছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের স্টেনো টাইপিস্ট মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ খন্দকার। ফলে জনমনে প্রশ্ন ওঠেছে ওয়াদুদের খুটির জোর কোথায়? এদিকে অদৃশ্য খুটির জোরে বদলী এড়িয়ে ২০০১ সালের ১৩ আগষ্ট থেকে এ হাসপাতালে কর্মরত থাকায় সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও পুরাতন স্টাফ হিসেবে নিজেকে জাহির করা ওয়াদুদের দাবী তার সহোদর ছোটভাই শামীম দুর্নীতি দমন কমিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। তাই কেউ তার কিছুই করতে পারবে না, উপরন্তু তাকে নিয়ে কোন কর্মকর্তা মাথা ঘামাতে এলে সে তার বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দিবে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল প্রশাসন তার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। অপরদিকে একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন চাকুরি করার কারণে প্রকাশ্যেই অনিয়ম দূর্নীতি চালিয়ে রীতিমতো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে এই দূর্নীতিবাজ ওয়াদুদ। তার কাছ থেকে উৎকোচবিহীন সেবা পাওয়া দুষ্কর। আরও জানা যায়, তার দূর্নীতির কথা ওপেন সিক্রেট বিষয় হয়ে ওঠলেও সব জেনে শুনেও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার অনিয়মের শিকার সেবা গ্রহীতারা তার দাপটের কাছে অসহায়ত্ব বরণ করে নিরবে নিভৃতে চোখের জল ফেললেও দেখার নেই কেউ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমলেও মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে সাহস নেই কারও। একারণে ওয়াদুদ তার নিজের ইচ্ছামাফিক চালাচ্ছেন দাপ্তরিক কার্যক্রম। টাকা ছাড়া মিলছেনা কাঙ্খিত সেবা। সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি ঘটছে অহরহ। তার চাহিদা মাফিক উৎকোচের টাকা দিলেই মেডিকেল সার্টিফিকেটে আইনের ২৫ ধারা নিমেষেই হয়ে যাচ্ছে ২৬ ধারা। অপরদিকে টাকা না দিলে বিভিন্ন
তালবাহানায় সেবাগ্রহীতাদের দিনের পর দিন হতে হচ্ছে অবর্ণনীয় হয়রানির শিকার। আর এভাবে সেবাগ্রহীতাদের কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে সে রীতিমতো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাপ্রার্থী মানুষ জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছেন, সেখানে সামান্য একজন স্টেনো টাইপিস্ট ওয়াদুদের অনিয়ম-দূর্নীতির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এটা মেনে নেওয়া যায় না। অনতিবিলম্বে দূর্নীতিবাজ ওয়াদুদের বিরুদ্ধে সকল অনিয়ম দুর্নীতির সঠিক তদন্ত করে যথাযথ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থীরা।
এদিকে এ বিষয়ে ওয়াদুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ সহকারে বলেন,’ আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছুই করতে পারবেন না। কারণ আমার ছোটভাই দূর্নীতি দমন কমিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাই আমার কিছুই হবে না। যত পারেন লিখেন গিয়ে।’
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply