মিঠুন পাল পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
দেশ পুনর্গঠনের দ্বায়িত্ব কাঁধে নিলো শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ। নতুন বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এখন সড়কে আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং সংখ্যালঘুদের জানমাল রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর কাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই কাজে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার গলাচিপায় দিনভর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশ রেড রিসেন্ট সোসাইটি, বিডি ক্লিন ও স্কাউটস এর সদস্যরা কাজ করে।
শিক্ষার্থীদের এমন কাজে খুশি সর্বস্তরের জনগণ, বৈষম্যহীন শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষার্থীদের অবদানকে প্রশংসা করেন তারা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। আর দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সকল প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণ ও প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা আজ সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছে, বাজার মনিটরিং করছে, দেশের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় কাজ করছে।
সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্ন ইতিবাচক কাজ করে চলছে। সেই সকল কাজের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পৌর মঞ্চ চত্বরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান করে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা উপজজেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় কাজ করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানায় বৈষম্যহীন ও মেধা ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে তারা এসব কাজ শুরু করছে। এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে চান তারা।
এদিকে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় কাজ করছে। তাদের সাথে অংশ নেয় গলাচিপা সরকারি কলেজ স্কাউট দল। এ সময় তারা সড়কে চলাচলকারী রিক্সা অটো ও মোটরসাইকেল সহ সকল ধরনের যানবাহন সুশৃংখলভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করে। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের কে কাজ করতে দেখা যায়।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিডি ক্লিন ও স্কাউট সদস্যরা হরিদেবপুর বাস স্ট্যান্ডে সড়কের আইন-শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করে। এ সময় গলাচিপা টু হরিদেবপুর খেয়া পারাপারে ঘাটের লোকজনের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের ফ্রি যাতায়াতের ব্যবস্থা করে। এছাড়া বাস কাউন্টার ও বাসের হেলপার ড্রাইভার এর সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নেয়ার ব্যবস্থা করেন। ফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড প্রদর্শন করে বাসে হাফ ভাড়া ও ফ্রী নৌকাপার হতে পারবেন ।
Leave a Reply