সেলিম মাহবুব,সিলেটঃ
ছাতকে এক প্রধান শিক্ষিার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগে এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীকে একটি লিখিত আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রদান করা হয়েছে। রোববার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবক স্বাক্ষরিত এ আবেদনের অনুলিপি সিলেট বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা ও ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরেও প্রদান করা হয়। আবেদনে বলা হয়, উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের গদারমহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কবা না করে নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া সহ সরকারী ছুটি ভোগ করাও তিনি তাঁর ইচ্ছে মতো করে থাকেন। প্রধান শিক্ষিকার উপস্থিতি অনিয়মিত হওয়ার কারনে বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার মানও দিনে-দিনে পশ্চাৎ পদ হচ্ছে। একাধিকবার বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তারকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত পেয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধিগন। বেআইনীভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির কারনে একবার শাস্তি হিসেবে এ প্রধান শিক্ষিকার একদিনের বেতন কর্তন ও একবার তাকে শোকজও করা হয়। বিগত ১৪ বছর ধরে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকা শাহিনা আক্তার আর্থিক কোন লেনদেনের হিসাব দিতে পারেননি আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর যোগদানের চৌদ্দ বছরের মধ্যে বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন হয়নি। স্লিপের টাকা সহ সরকারী বরাদ্দের সাকুল্য অর্থ তিনি আত্মসাৎ করেছেন। স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রী হওয়ার সুবাদে বিগত দিনে অনিয়ম-দুর্নীতি করেও তিনি দাপটের সাথে চলাফেরা করেছেন। বিদ্যালয়ের হিসাব-নিকেশের প্রশ্ন আসলেই তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় আবেদনে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ জয়দেব দেবনাথ জানান, অভিযোগটি ডাক ফাইলে দেয়া হয়েছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply