বার্তা কক্ষ
উদয়ের পথে শুনি কার ধ্বনি
ভয় নেই ওরে ভয় নেই,
নিঃস্বার্থে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।
মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, ফেনীর দাগনভূঞাঁ উপজেলার আবু নাছের লন্ডনীর সুযোগ্য পুত্র সাংবাদিক আবুল হাসনাত তুহিন। তিনি ফেনী নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ভারতীয় বন্যায় যখন মানুষ দিগ্বিদিক করছিল তখনই নিজের অদম্য সাহসও মানুষের মমতা নিয়ে বেরিয়ে পড়ের বানভাসি হতভাগ্য মানুষদের পাশে থেকে সহায়তার হাত প্রসারিত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। ঐতিহাসিক বন্যার করালগ্রাস যেখানে মানুষের জীবনও জানমান ভাসিয়ে চলছে সেখানে তিনি অন্যান্য অকুতোভয় বীরদের মতো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গিয়েছেন।
তিনি এমন অবস্থায় পড়েছেন রাতদিন বানভাসি মানুষের পাশে থাকতে থাকতে নিজ পরিবার পরিজনদের কথা পর্যন্ত ভুলে যান।এক পর্যায়ে জানতে পারেন নিজের পরিবারের অবস্থাও বানভাসি মানুষের অবস্থায় পৌছেছে। নিজ ঘরের সমস্ত মালামাল ঘরের মধ্যে রেখেই শুধুমাত্র নিজ পরিবার কে পরিত্যক্ত একটি ভ্রমণের ছাদে পরিজনদের আত্মীয়ের জিম্মায় রেখে পূর্ণরায় বেরিয়ে পড়েন বানভাসি মানুষদের উদ্ধার ও ভালোবাসার উপহার বিতরণের কাজে। নিজের পারিবারিক তহবিল থেকে বন্যার তৃতীয় দিন থেকে শুরকরেছেন ভালোবাসার উপহার বিতরণ। ভালোবাসার উপহার বিতরণ করতে গিয়ে চতুর্থ দিনের মাথায় রাত ১২ টার সময় ফেনীর মিজান রোডস্থ রাস্তারমাথায় তোমিজিয়া মসজিদের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক ভার্সিটির পাঁচজন ছাত্র হাসনাত তুহিন কে উদ্ধার করে ফেনীর ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি করান। সারারাত হাসপাতালে থেকে, সকালে একটু সুস্থতা অনুভব করলে আবাও বেরিয়ে পড়েন মানবতার কাজে।পরিবারে তহবিল থেকে ৫শতাদিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান শেষ করে অতপর বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে যোগ দেন এবং ভালোবাসার উপহার বিতরণ তৎপরতা চালিয়ে যান।
সাংবাদিক আবুল হাসনাত তুহিন’র মাধ্যমে বানভাসি মানুষদের জন্য শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধ, মশার কয়েল,মোম বাতি ফলমূল সহ নানাবিধ পারিবারিক নিত্য সামগ্রী বিতরন করেন।২য় ধাপে চউল,ডাউল,তেল,পেঁয়াজ, আলু,মুড়ি, চিড়া সহ নানাবিধ সামগ্রী বিতরত করে দাগনভূঞা এলাকার জনসাধারণ সহ ফেনীর বিভিন্ন উপজেলা ফেনী সদর, ফুলগাজী, পরশুরাম সোনাগাজী,দাগনভূঞা, নোয়াখালীর মানুষের মনে আস্থা তৈরী করতে পেরেছেন। শুধু বানভাসি মানুষের পাশের দাঁড়াননি তিনি। এ মানুষটি নিজের সাধ্যের মধ্যে ফেনী জেলার বন্যায় বিপদগ্রস্ত চারটি এতিমখানা ভালোবাসার উপহার বিতরণ সহ অনেক সাংবাদিক ভইদেরও খোঁজ খবর নিয়ে ভালোবাসার উপহার বিতরণ করে সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ফেনীর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুপুর ১২ ঘটিকার সময় লাইভে থাকা মোবাইল, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নিয়ে যায় এবং মাথায় মারাত্মক হামলার শিকার হন তিনি। তাকে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী উদ্ধার করে ফেনীর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।তিনি হামলার শিকার হয়ে ৫দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকেন।
এ মানুষটি বিগত করোনা কালীন সময় মানুষ যেখানে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন সেখানে সাংবাদিক আবুল হাসনাত তুহিন সামর্থ্যনুযায়ী বেরিয়ে পড়েছিলেন মানুষের ঘরে ঘরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে। সাংবাদিক আবুল হাসনাত তুহিন কখনো মৃত্যুর ভয়! করেননি। নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন তখনকার সময়।পবিত্র রমজানেও তিনি আশপাশের হতদরিদ্র সকলকে নিয়ে ইফতার ও সাহরি খেয়ে থাকেন। তার সাফ কথা হলো আগে সাধারণ অসহায় মানুষ বাঁচতে হবে পরে নিজে।তিনি একজন ধার্মিক ও সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। সাংবাদিক আবুল হাসনাত তুহিনের পরিচালনায় একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় গরীব এতিমও এলাকার অধিকার বঞ্চিত শিশুরা লিখাপড়া করে বলে জানা যায়।
সাংবাদিক আবুল হাসনাত তুহিন সাবেক এশিয়ান টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফেনী জেলা বিএমএসএফ’র সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক জবাবদিহি ফেনী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি একজন পরোপকারী ও জনহিতৈষী নিরহংকার মানুষ। মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় সাংবাদিক আবুল হাসনাত তুহিন পাশে থাকে। সামনের দিনগুলোতে সকল মানুষের পাশে থেকে আপদে বিপদে সকলের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply