মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
গলাচিপা উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে ঘূষ , দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে পেশকার মো: জাফর । তার বিরুদ্ধে আইনজীবীদের বিস্তর অভিযোগ। এ ব্যাপাারে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৫জুলাই যোগদানের পর থেকে কোন মক্কেল এ আদালতে মামলা করলেই পেশকার জাফর ও সাথে থাকা সহযোগিরা বাদী ও বিবাদীর সাথে যোগযোগ করে অবৈধ অর্থ লেনদেন, ফৌ:কা:বি: ১০৭ধারা মামলায় ১ হাজার থেকে ২হাজার টাকা নিয়ে শোকজ নইলে তদন্ত, ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলায় দাখিলা ছাড়াই রিসিভার আদেশ, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থাকা সত্বেও টাকা না পেলে মামলায় নম্বর না ফালানো, ফটোকপিতে ৫/৬শত টাকা, সই মহরের কপি নথিতে ৫হাজার থেকে ১০হাজার টাকা পেশকার জাফর নিয়ে থাকে। এতে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং পটুয়াখালী সদরে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশনের ফ্লাট বাড়ী নিমার্ন , ব্যাংক ব্যালেন্স ও জায়গা কিনেছেন। ইত:পূর্বে তার বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ জেলা প্রশাসকের নিকট দিলেও তদন্ত ভার দেয় ইউএনও উপর । তা কোন দিন আলোর মুখ দেখেনি।
পেশকার শুধু লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেননি তিনি পৌরসভার সহিদ সিকদারের স্ত্রী মিনারা বেগমের (৫০)(মক্কেল) গায়ে হাত দিয়ে গলাচিপায় সমালোচিত হন। তাও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়ে ইউএনও শালিসীর নামে ধামাচাপা দিলে তার বিচার হয়নি। এক কথায় গলাচিপার ২২আইনজীবী ও সহকারী আইনজীবীরা পেশকার জাফরের কাছে সকলে জিম্মি ।
এ্যাড: মো: দেলোয়ার হোসেন, এ্যাড. মোকলেছুর রহমান, গাজী মো: আল আমিন, এ্যাড. আল মামুনসহ জানান, পেশকার জাফর মামলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা তো দূরের কথা অসৎ আচরন করতেও দ্বিধাবোধ করেন না। পেশকার মো: জাফর জানান, আমি অনিয়মের সাথে জড়িত নয়।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, পেশকার মো: জাফরের বিরুদ্ধে এক্যাশন নিচ্ছি।
অভিযোগের কপি সংযুক্ত
Leave a Reply