নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের
জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে ছাঁটাইয়ের হুমকি, ডাক্তার-নার্সকে গালিগালাজ সহ অমানবিক আচরণ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
গালিগালাজ করার অভিযোগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সর্বশেষ পে-স্কেলে শতভাগ ইনক্রিমেন্ট প্রদানের দাবি নিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে গেলে সেখানে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েন সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম খান। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনুরোধ মেনে
কাজে ফিরে যান।
জানা যায়, জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালটির হাসপাতাল কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাসিক বেতন বকেয়া ছিল। তবে নতুন কমিটি আসার পর কয়েক দফায় বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম দুই মাসের বকেয়া বেতন ও শতভাগ বেতন প্রদানের আদেশে স্বাক্ষর করে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেও শতভাগ বেতন দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নেতৃবৃন্দের কাছে গতকাল লিখিত দাবি নিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৯ সালে ঘোষিত পে স্কেল অনুসারে আমাদের ১৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২০১৫ সালের পে স্কেলে সেটি বাদ দেয়া হয়। কিন্তু তখন থেকে আমাদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ কম দেয়া হয়। এতদিন নানা সমস্যার কারণে আমরা এই ১০ শতাংশের দাবি জানাতে পারিনি।
এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি নিয়ে জেলা সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সেক্রেটারিসহ কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে যাই। তখন দাবির কথা শোনার পর জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি মো. আসলাম খান আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেন। দাবি নিয়ে আসা একটি অংশকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার হুমকি দেন। পরে সেটি না পেরে তিনি হাসপাতালে কয়েকজন ডাক্তার ও নার্সকে গালিগালাজ করেন।
এ সময় দাবি নিয়ে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে সেক্রেটারিসহ কমিটির কয়েকজন সোসাইটি অফিসের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে বের হয়ে তারা দাবি অনুযায়ী অবশিষ্ট ১০ শতাংশ প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে কবে নাগাদ তা বাস্তবায়ন হবে সেটার সময় উল্লেখ করেননি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ পূর্বদেশকে বলেন, ‘জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেসিকের ১০ শতাংশ প্রদানের দাবি নিয়ে এসেছিল। আমরা তাদের বিষয়টি শুনে আলোচনা করে দাবির পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বেসিকের শতভাগ প্রদানের আশ্বাস দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি মো. আসলাম খান বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের ১০ শতাংশ প্রদানের দাবি নিয়ে আসলে সোসাইটির অফিসে উপস্থিত কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে তা মেনে নিয়েছি। এ সময় কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী হৈ চৈ শুরু করলে আমরা তাদের শান্ত থাকতে বলেছি। গালি দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। কতিপয় চক্র আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply