1. nwes@w3speace.net : ASIF : ASIF
  2. azahar@gmail.com : azhar395 :
  3. admin@gazipursangbad.com : eleas271614 :
  4. wordpUser4@org.com : GuaUserWa4 :
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক মাদক কারবারিকে এক বছর কারাদন্ড-গাজীপুর সংবাদ  চট্টগ্রামে চেকপোস্টে পুলিশের ওপর হামলা-গাজীপুর সংবাদ  কাপাসিয়ায় নানা আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপিত-গাজীপুর সংবাদ  মনোহর আলী নূরানী কিন্ডারগার্টেন এর সবক প্রদান ও নবীন বরন অনুষ্ঠান সম্পন্ন-গাজীপুর সংবাদ  নাটোরের লালপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ- মাদক ব্যবসায়ী আটক-গাজীপুর সংবাদ  সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নামে প্রথমবার মামলা-গাজীপুর সংবাদ  গজারিয়ায় ২৮কেজি গাঁজাসহ আটক-১, পিকআপ ভ্যান জব্দ.-গাজীপুর সংবাদ  নাটোরে তারণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান-গাজীপুর সংবাদ  নাটোরের লালপুরে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত-গাজীপুর সংবাদ   নাটোরের লালপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের  অভিযোগে ১জন গ্রেফতার-গাজীপুর সংবাদ 

আশ্রয়ন প্রকল্প চরে, বিপা’কে বাসিন্দা।।-গাজীপুর সংবাদ 

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৮ টাইম ভিউ

মোঃআব্দুল হামিদ সরকার (নীলফামারী) জেলা প্রতিনিধি।।

নীলফামারী জেলা র ডিমলা উপজেলা য় ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের কেল্লাপাড়া গ্রামে তিস্তা নদীর দূর্গম চরে নির্মাণ করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি ঘর। বর্ষা মৌসুমে এখানে পানি উঠে যায়। তখন বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে এসব ঘরের অনেক বাসিন্দা অন্যত্র চলে যায়।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নিচু জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে। যে স্থানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে বর্ষা মৌসুমে নদীর প্রবাহ আসে। প্রকল্পের দেড় শতাধিক মানুষ বছরে ৪ থেকে ৫ মাস পানি বন্দী অবস্থা য় থাকে।

জানা গেছে, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নটি তিস্তা নদী বেষ্টিত।আর কেল্লাপাড়া গ্রামটি তিস্তার দূর্গম চরে অবস্থিত। এলাকাটিতে জনবসতি কম। সেখানে আবাদি ও অনাবাদি ফসলি জমি বেশি।

পি আই ও কার্য্যালয় সূত্রে জানা গেছে , ৪- বছর আগে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কেল্লাপাড়া গ্রামে তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০-টি ঘর নির্মাণ করা হয়। জনপ্রতি ২-শতক জমিসহ একটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৯১ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা জানান , যে স্থানে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে ১৫ বছর আগে নদীর প্রবাহ ছিল। পরে নিচু জায়গায় জেগে ওঠা চরে আশ্রয়ণের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্পের ঘরগুলো উপজেলার শেষ সীমানায় দূর্গম চরে নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকাটির চারদিকে তিস্তা নদী। বর্ষায় পানিতে তলিয়ে থাকে। নদীভাঙ্গনের আশঙ্কও আছে বলে জানান তারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ষায় প্রকল্পের চারপাশে কোমর সমান পানি থাকে। ঘরের জানালা পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকে। যাতায়াতের রাস্তা নেই। বর্ষাকালে পানি-কাদায় এখানে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

প্রকল্পের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম  বলেন,তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই আশ্রয় প্রকল্পের ঘরে বাস করেন। সামান্য বন্যাতেও নদীর পানি ঘরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা জিনিসপত্র, চাল-ডাল, গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপদে পড়েন। এমন মানবেতর জীবনযাপন করতে কেউ এসব ঘরে থাকতে চাইবে? প্রশ্ন করেন তিনি।

বানেছা বেগম নামে একজন বলেন, সোরকার হামাক এমন জায়গাত ঘর দিছে, বছরের পাঁচ মাস পানিবন্দী থাকির নাগে । ছাওয়া গিলা স্কুল যাবার পায়না। বড় বান আসিলে হামাক ঘরোত পানিতে মইরবার নাগিবে।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ ,জেনেশুনে নদীর চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। উঁচু জায়গায় ঘরগুলো করা হলে প্রকল্পের বাসিন্দাদের এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসান বলেন , এই আশ্রয়ণ প্রকল্প ভূমিহীনদের জন্য বড় আশীর্বাদ হতে পারত। কিন্তু নিচু জায়গায় অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। দিন শেষে তাদের উদ্বাস্তু হওয়ারই দশা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারের কোটি কোটি টাকাও অপচয় হলো।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। তবে বাঁধের বাইরে  নদীর চরে ওই ঘরগুলো নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। বাঁধের ভিতরে ঘর নির্মাণ করলে এ সমস্যা হতো না।

ঘর নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান  বলেন, প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণের দায়িত্ব ভুমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তারা শুধু প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন,
আমি এখানে যোগদানের অনেক আগে আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে প্রকল্পের বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার হবে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান রাসেল মিয়া বলেন, কেন, কি কারনে নদীর চরে প্রকল্পের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সেই সাথে প্রকল্পের বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।।।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
ছাতকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর আলম সেলিম মাহবুব,সুনামগঞ্জঃ ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের চরচৌড়াই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের পুত্র। সে গত ৩১ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের কামরাঙ্গী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে হামলার শিকার হয়। হামলার ঘটনায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আহারগাও গ্রামের ওয়াব আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান সুফি, আব্দুস সোবহান, ছোরাব আলীর পুত্র আব্দুর রহিম, মৃত ইসবর আলীর পুত্র ছোরাব আলী, বুলন মিয়ার পুত্র আহমদ আলী, আব্দুল হান্নানের পুত্র ফয়জুল ইসলাম, আলকাছ আলীর পুত্র ওয়াব আলী ও কামরাঙ্গী গ্রামের মিছির আলীর পুত্র হাসন রাজার বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেছেন আহত জাহাঙ্গীর আলমের বড়ভাই মো: আঙ্গুর মিয়া। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ৩১ ডিসেম্বর রাতে কামরাঙ্গী মাদরাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিলে গেলে জাহাঙ্গীর আলমকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুকে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে, এখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কিবরিয়া হাসান। ##
© All rights reserved © 2024
Developer By Zorex Zira

Design & Developed BY: ServerSold.com

https://writingbachelorthesis.com