মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে খোদা তোতন ও খুলশী থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ আলম কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চট্টগ্রামে খুলশীতে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ, আহতের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এলাকা আশপাশ অঞ্চল ও সোশ্যাল মিডিয়া গণমাধ্যমে। যা দলীয় হাই কমান্ডের নীতি-নৃত্যারফদের চোখে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় বহিষ্কার করা হয়েছে অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাথে জড়িতদের।
রোববার (২৭অক্টোবার) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আবু বকর রাজু স্বাক্ষরিত যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা নগরের খুলশী থানাধীন সেগুনবাগান এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ছয়জন আহত হন।
পুলিশ ও বিএনপি সূত্র বলছে, এলাকার চাঁদাবাজি, দখল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুলশী থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক ও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ায়। ওমর ফারুক নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতনের অনুসারী।
এ ব্যাপারে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। ঘটনা কেন ঘটেছে, কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে এখনোও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে নিরাপত্তাহীনতায় আতংকে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য : চট্টগ্রামে খুলশী সেগুনবাগান এলাকায় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই
সংঘর্ষে এতে আহত হয়েছেন ৩জন। এক যুবককে কাপড় দিয়ে অস্ত্র ঢেকে মহড়া দিতে দেখা গেছে এ ঘটনায়।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ফারুক ও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমের অনুসারীদের মধ্যে এ এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এর আগে শুক্রবার রাতেও দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আরিফ, কাওসার ও ওয়াসি। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে কাওসার ফারুকের ছেলে এবং ওয়াসির তার অনুসারী। এছাড়া আরিফ শাহ আলমের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা ফারুক ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ আলমের অনুসারীদের মধ্যে শুক্রবার রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেশ ধরে আজ শনিবার বিকাল ৪টার দিকে আবারও দু’গ্রুপ মুখোমুখি হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রত্যেকে এলাকার নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
এছাড়া একটি ভিডিও ফুটেজে এক যুবককে কাপড় মুড়িয়ে একটি অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে। ওই যুবকের নাম রাজা বলে জানা গেছে। ফারুক ও শাহ আলম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কাওসার, ওয়াসি ও আরিফ নামে তিন যুবক আহত হন।
খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার অনুসারী আরিফের ওপর হামলা করেছে ফারুকের লোকজন।’
ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ফারুক এ বিষয়ে জানতে চাইলে
বলেন, ‘আমার ছেলে কাওসারকে শাহ আলমের অনুসারী মুরগী সাগরসহ অন্যরা এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply