নিজস্ব প্রতিবেদক :
জামালপুর পৌর এলাকার ১০নং ওয়ার্ডের চন্দ্রার টিসিবির পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি পণ্য ক্রয়ের তালিকায় কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে ডিলার মেসার্স আলিফ স্টোরের মালিক
আবুল তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তার মালামাল বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার আবুল হোসেন। এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এই এলাকায় ৯শ ২০টি কার্ডের বিপরীতে মাল উত্তোলন করেও ডিলার আবুল হোসেন মাত্র ৪ থেকে ৫শ প্যাকেজ দিয়েই বলেন মাল শেষ। আর বাকী মাল বরাবরই তিনি খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছেন। ফলে একদিকে নিম্নবিত্তদের জন্য সরকারের এই প্রকল্প যেমন ভেস্তে যাচ্ছে। তেমনি গরীবের হক মেরে খেয়ে রাতারাতি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠেছেন ডিলার আবুল হোসেন।
জানা যায়, সরকার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে তিনটি খাদ্যপণ্য-চাল, ডাল ও তেল বিক্রি কর্মসূচি শুরু করেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি। এ কর্মসূচির আওতায় পৌর এলাকার
১০নং ওয়ার্ডের চন্দ্রায় টিসিবির আওতায় মোট(ফ্যামিলি কার্ডপ্রাপ্ত) সুবিধাভোগী রয়েছেন ৯শ ২০জন। কিন্তু মাল পাচ্ছেন বড়জোর ৫শ জন। বাকীরা কখনও মাল পাননা। আরও অভিযোগ রয়েছে ফ্যামিলি কার্ড অনলাইনকরণের সময় মেয়র, কাউন্সিলর ও ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা প্রভাব খাটিয়েছেন। বিশেষ করে মেয়রসহ ক্ষমতাসীনরা নিজ দলীয় ও কাউন্সিলররা নিজ নিজ সমর্থকদেরই কার্ড দিতে চেষ্টা করছেন। ফলে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষদের অনেকেই সরকারি এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে টিসিবি পণ্য বিতরণেও প্রভাব খাটিয়ে অন্যান্য সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কার্ড জিম্মি করে রাখেন, মেয়র, কাউন্সিলর ও দলীয় সদস্যরা। পরে সেই কার্ড দেখিয়ে মেয়র, কাউন্সিলর ও তার অনুসারীরা ডিলারদের কাছ থেকে টিসিবির পণ্য ছাড়িয়ে নেন। এছাড়া সরকার পতনের পর টিসিবির পণ্য বিতরণে দেখভালের কেউ না থাকায় ট্যাগ অফিসারকে ম্যানেজের মাধ্যমে নয়ছয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ডিলার আবুল। এবিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে বলেন আগে কিছু হলেও এখন কোন সুযোগ নেই। এলাকার প্রভাবশালীরা আমার কাছ থেকে মাল নিয়ে তারাই বিতরণ করছে। অপরদিকে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঠিকমতো কার্ড সংখ্যাই বলতে পারেননি। সে বিতরণ কার্যক্রমে জড়িত না থেকে সেখান থেকে কিছু দূরে একটি চেয়ারে বসে ছিলেন। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply