1. nwes@w3speace.net : ASIF : ASIF
  2. azahar@gmail.com : azhar395 :
  3. admin@gazipursangbad.com : eleas271614 :
  4. wordpUser4@org.com : GuaUserWa4 :
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের দরজা-জানালা খুলে নেওয়ার সময় আটক ১-গাজীপুর সংবাদ  ডিমলায় জমি র বিরোধে গাছ উত্তোলন।-গাজীপুর সংবাদ  হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সবক প্রদান ও নবীন বরন অনুষ্টিত-গাজীপুর সংবাদ  আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার দাবিতে নাটোরে মানববন্ধন-গাজীপুর সংবাদ  কাপাসিয়ায় কোমলমতি এতিম শিশুদের মাঝে সরকারি কম্বল বিতরন:-গাজীপুর সংবাদ  নাটোরের লালপুরে আদিবাসী ৫ শ্রেনির শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন-গাজীপুর সংবাদ  ছাতকে ৫ জন কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টিত-গাজীপুর সংবাদ  চকরিয়ায় দু’সহোদর শাহেদ-আরমানের নেতৃত্বে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট-গাজীপুর সংবাদ  সৎপুর দারুল হাদিস মাদ্রাসার সাবেক ওস্তাদুল মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা আব্দুল হাই’র জানাজা অনুষ্টিত-গাজীপুর সংবাদ  রাণীশংকৈলে যুব ঐক্যের উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ-গাজীপুর সংবাদ 

সিলেটে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগ নেতাকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিল পুলিশ!-গাজীপুর সংবাদ 

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৬ টাইম ভিউ

সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে বিস্ফোরক মামলার এজাহারনামীয় আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন আহমদকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আপোষ রফা করে বড় অংকের টাকা আদায়ের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) রাতের প্রথম প্রহর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের খুলিয়াটুলার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি পুলিশ। গত ৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলার (নং-১৪(৮)’২৪) এজাহারনামীয় ১৮ নম্বর আসামি।

গ্রেফতারকালে কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার (নং-১৪(৮)’২৪) তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাফিন আহমদ, এসআই এসআই ফখরুল ইসলাম ওে আব্দুল মুকিতসহ পোষাকে-সাদা পোষাকে পুলিশ সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।

গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন আহমদ (৪২) সিলেট নগরের খুলিয়াটুলা নিলিমা ৫২/৪ বাসার মৃত মুজাহিদ আলীর ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোতোয়ালি মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাফিন আহমদ ও ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা শাহীনকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, পোষাকে ৩ জন ও সাদা পোষাকে ২ জন পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা শাহীনকে নীল লুঙ্গি ও শার্ট পরিহিত অবস্থায় বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় পেছন থেকে আরেকজন লোক পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে লুঙ্গি পরিহিত একজন এবং পেছনে লাল গেঙ্গি পরিহিত আরেকজন পুলিশের পেছনে পেছনে ছুঁটে যাচ্ছিলেন।

আরেকটি সিসি ফুটেজে দেখা যায়, সাদা পোষাকে ৩ জন এবং পোষাক পরিহিত একজন পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। অন্য একটি ফুটেজে হাতে লাল ফাইল থাকা সাদা পোষাকে পুলিশ সদস্য ছেড়ে দেওয়া আসামি শাহীনকে একা নিয়ে তার বাসার দিকে যাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক ও ওসি তদন্ত আকবর হোসেনের নির্দেশনায় স্থানীয় এক সোর্সের মাধ্যমে শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে এসআই ফখরুলের সঙ্গে বাকবিকন্ডায় জড়ান সোর্স হিসেবে ব্যবহৃত ব্যক্তি। তার মতে, ‘আপনারা যদি তাকে ধরে ছেড়ে দেবেন, তাহলে ধরলেন কেনো?’ তখন এসআই ফখরুল অনুনয় বিনয় করে বিষয়টি ক্লোজ করতে বলেন, কেউ যেনো না জানে। তার দিকে তাকিয়ে এটা বাদ দিতে বলেন এবং এটাতে কমিশন আছে বলে প্রলুব্ধ করেন। এসআই ফখরুল বার বার অনুরোধ করেন যাতে বিষয়টি জানাজানি না হয়।

অভিযোগ রয়েছে, কোতোয়াল মডেল থানার কর্মকর্তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এসএমপিতে তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক শুক্রবার জুম্মার নামাজের আহে আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বাদ জুম্মা আবারো ফোন দিয়ে তিনি বলেন, শাহীন নামে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তিনি হবিগঞ্জের ফুড ইন্সপেক্টর। তাই সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার কারণে তাকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বিস্ফোরক মামলার এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেফতার কিংবা ছাড়ার বিষয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে এসআই ফখরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে শুনেছি। ওসি কোতোয়ালি বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি নাকি সরকারি চাকুরিজীবী। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গ্রেফতারে সতর্কতা জরুরী। কিন্তু গ্রেফতার কিংবা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল।

এসএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি সরকারি চাকুরি করার কারণে তাকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন ওসি। কিন্তু যদি কোনো ধরণের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছাড়া হয়ে থাকে, সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় সাবেক স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলা হয়। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের বাগাউড়া গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
ছাতকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর আলম সেলিম মাহবুব,সুনামগঞ্জঃ ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের চরচৌড়াই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের পুত্র। সে গত ৩১ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের কামরাঙ্গী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে হামলার শিকার হয়। হামলার ঘটনায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আহারগাও গ্রামের ওয়াব আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান সুফি, আব্দুস সোবহান, ছোরাব আলীর পুত্র আব্দুর রহিম, মৃত ইসবর আলীর পুত্র ছোরাব আলী, বুলন মিয়ার পুত্র আহমদ আলী, আব্দুল হান্নানের পুত্র ফয়জুল ইসলাম, আলকাছ আলীর পুত্র ওয়াব আলী ও কামরাঙ্গী গ্রামের মিছির আলীর পুত্র হাসন রাজার বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেছেন আহত জাহাঙ্গীর আলমের বড়ভাই মো: আঙ্গুর মিয়া। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ৩১ ডিসেম্বর রাতে কামরাঙ্গী মাদরাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিলে গেলে জাহাঙ্গীর আলমকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুকে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে, এখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কিবরিয়া হাসান। ##
© All rights reserved © 2024
Developer By Zorex Zira

Design & Developed BY: ServerSold.com

https://writingbachelorthesis.com