মোঃ মামুন হোসাইন।স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১০নং বালিয়াতলী ইউনিয়নের উন্নয়নের
রুপকারে সৎ নিষ্ঠাবান গরিব ও মেহনতী মানুষের পরম বন্ধু স্মার্ট ইউনিয়ন গড়ার কারিগর চেয়ারম্যান এবি,এম হুমায়ুন কবির। তিনি সংবাদমাধ্যমের একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন আমি বিগত ২০১৩ সালে ২২শে মে বালিয়াতলী ইউনিয়নের প্রথম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সেই থেকে তিনি ঐ ইউনিয়নের পর পর তিন বার জনগনের নিরপেক্ষ ভোটের মধ্যে দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন এবং তিনি কলাপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন । তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরে দীর্ঘ ১২ বছরে তার ইউনিয়নে ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করছেন এবং ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় করছেন, তিনি বলেন তার চেয়ারম্যান হওয়ার আগে কোন স্কুলে ১তলার বেশি ছিল না, তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে ৩ থেকে ৪ তলা হয়েছে এবং এফতেদায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় সেখানে ২ থেকে ৩ তলা ভবন নির্মাণ হয়েছে।
তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে তার ইউনিয়নে প্রায় আড়াইশো গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। তিনি বলেন তার ইউনিয়নে আগে এক ফসলী জমি কৃষকরা চাষ করতো, সেখানে তিনি বিভিন্ন এনজিও-র মাধ্যমে চন্দ্রদ্বীপ খাল,
কালির খাল, সুভার খাল, তুলাতলী,ভারানী, পক্ষিয়াপাড়া, সোনা পাড়া খাল,বগাখালীর খাল, চর বালিয়াতলীর খাল,তিনি খনন কাজ করিয়েছেন। এরকারনেই কৃষকরা শুকনা মৌসুমে আমন ধান চাষ করে যেমন এখন দুই ফসলী জমি তারা চাষ করতে পারে এবং কোন কোন জায়গায় তিন ফসলী জমি চাষ করতে পারে কৃষকরা এবং তার
এলাকায় আগে তরমুজের চাষ হতো না এখন খাল খনন করার পরে প্রচুর পরিমানে তরমুজের চাষ হয়, এতে কৃষকের অনেক উপকার হয়েছে। আগে
শুকনা মৌসুমে লবন পানির কারনে কৃষকরা চাষ করতে পারতো না, এখন এই খাল খনন করার কারনে মিস্টি পানি
পাওয়ায় তারা চাষ করতে পারে।
পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে একটা ব্লু বোর্ড কাজ করছে তিন কিলোমিটার ভেরিবাধ ৩ ফুট উচু করছে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ও অফদার মাধ্যমে ৩ টি বড় বড় স্লুইস করিয়েছেন, যার মাধ্যমে বর্ষার মৌসুমে সহজে পানি বের হতে পারে এবং পানি ওঠা নামা করতে পারে। কৃষকদের উপকারের সার্থে অসংখ্য কালভার্ড করছেন যাতে রাস্তায়
জলাবদ্ধতার পানি জমে না থাকে। তার ইউনিয়নে এস,বি,বি রাস্তা ১০ কিলোমিটার হয়েছে, ইটের সলিন রাস্তার কাজ করিয়েছেন এবং ৪৫ কিলোমিটার অফদার ভিতরের রাস্তা গুলোর মাটির কাজ করিয়েছেন। আরও কিছু নতুন নতুন রাস্তার কাজ করিয়েছেন এবং তার মাধ্যমে ৫টি মসজিদ তার তত্বাবধানে করিয়েছেন। এছাড়াও তার ইউনিয়নে ৭৭টি মসজিদ আছে প্রত্যেকটিতে তিনি সরকারি অনুদান ২ থেকে ৩ বার করে
দিয়েছেন, যার কারনে মসজিদ গুলোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে, মুসল্লীরা সাজছন্দে মসজিদে নামাজ পড়তে পারছে। যারা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষ আছে যেমন রাখাইন সমপ্রদায় তার ইউনিয়নে ৭টি আছে তাদের বিভিন্ন সরকারি অনুদান সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং প্রায় ১৮ শো বয়স্ক ভাতা তারা পাইতেছে ও প্রতিবন্ধী ভাতা ৪ শোর বেশি তারা পাইতেছে তার ইউনিয়নে এবং উপবৃত্তি, বি,জি,ডি, বিজি,এফ,মৎস্য জেলেদের চাল সুন্দর ভাবে তার ইউনিয়নে বন্টন করেছেন কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত আসেনি, স্বচ্ছ ভাবে মৎস্য অফিসারের মাধ্যমে যে তালিকাটি দিয়েছে সেই অনুযায়ী তারা চাল বিতরন করছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি বলেন তার ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে সকল পরিবারের মাঝে চাল দেওয়া হয়েছে আগে পরে। তিনি বলেছেন
৫ ই আগস্টের পরেও সব কিছু উপেক্ষা করে তিনি বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নিয়মিত পরিচালনা করে আসছেন। তার ইউনিয়নে আইন শ্রীংক্ষলা ভালো আছে এবং যতো দিন তিনি চেয়ারম্যান আছেন সকল দল মতের উর্ধ্বে থেকে সকল কে এক চোখে সেবা দিয়ে গেছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন আমার ইউনিয়নের নাগরিকদের সকলকে সমান ভাবে সেবা দিয়ে তাদের পাশে থাকার আপ্রানচেষ্টা করেছি। তিনি বলেন তার আমলে কাউকে কোন মানুষকে জুলুম করা হয়নি, কোন অত্যাচার করা হয়নি, কোন নির্যাতন করা হয়নি, কোন হয়রানি করা হয়নি,সরকারি যে সেবা তিনি পেয়েছেন তা সবাইকে সমান ভাবে দিয়েছেন বা সমান ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বালিয়াতলী ইউনিয়ন আরোও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব বয়ে আনে এই ইউনিয়নটি তিনটি নদী নিয়ে বেষ্টিত যেমন আন্দার মানিক নদী, টিয়া খালি নদী, রামনা বাঁধ নদী, চর বালিয়াতলী গ্রামে হাবির চর এবং চরের স্বাদ এটা সরাসরি সাগরের সাথে সংযুক্ত পর্যটন এরিয়া মধ্যে তাই এই এলাকায় যদি কোন পর্যটন শিল্পের কারখানা হয় বা কোন প্রতিষ্ঠান হয়, তাইলে এই এলাকার ও মানুষের উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন বালিয়াতলী ইউনিয়নে যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য বাসস্থান করে দেওয়া হয় এবং প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন বৃদ্ধি করা ও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কমল মতি শিশুরা আছে তাদের জন্য যদি একটা সরকারি শিশু পার্ক করা হয়, তাইলে শিশুরা স্কুলে আসতে চাইবে এবং তাদের মনে স্কুলে আসার আগ্রহ জাগবে। তিনি সরকারের কাছে দাবি করেন এবং সকল স্কুলে যেন আগের মতো আইনের সু শাসন প্রতিষ্ঠা
হয়। তাইলে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন বৃদ্ধি হবে ও ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি। বালিয়াতলী ইউনিয়নের কিছু জায়গা পায়রা পোর্ডের মধ্যে আছে লালুয়া ইউনিয়ন ৩ ভাগের ২ ভাগ পোর্ডের আওতায় আছে। বালিয়াতলী ব্রীজ হওয়ার কারনে মানুষ বিকল্প পথে এই ব্রীজ পার হইয়া মহিপুর কুয়াকাটা যায়। তাই তিনি মনে করেন বালিয়াতলী ইউনিয়নটা পর্যটনের ক্ষেএে খুব গুরুত্ব বয়ে আনে।
বালিয়াতলী ইউনিয়ের সর্বস্তরের সাধারন মানুষের কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে তারা সবাই একই কথা বলেন যে
আমাদের চেয়ারম্যান এবি,এম হুমায়ুন কবির খুব ভালো মনের মানুষ ও ন্যায় পরায়ন, মানবতার সেবক, আমরা চাই তিনি আজীবন আমাদের মাঝে চেয়ারম্যান হয়ে থাকুক, সে থাকলে আমাদের ইউনিয়নের আরো অনেক উন্নয়ন হবে এবং সে আমাদের বালিয়াতলী ইউনিয়নের উন্নয়নের রুপকার, সে আমাদের চেয়ারম্যান না,সে আমাদের জনতার সেবক মানবতার ফেরিওয়ালা।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply