মোহাম্মদ মাসুদ
চন্দনাইশ থানাধীন দোহাজারী পৌরসভা রায়জোয়ারা গ্রামের ০৭ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দাকে একই এলাকার লালুটিয়ায়ার বিবাদি ও আসামি সুমন’সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অপহরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ও পুলিশের উপস্থিতিতে অপহরণকৃত ভিকটিমসহ অহরণকারী আটক হয়।
১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ টায় চন্দনাইশ থানাধীন এলাকায়
অপহরণকৃত ভিকটিমদের উদ্ধার সহ অপহরণকারী আসামি মো. সুমনকে আটকা করে চন্দনাইশ থানা পুলিশের সহায়তায়। ভিকটিম অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় উপস্থিত লোকজন জনতার আটক করে পুলিশ হেফাজতে সক্ষম হয়।
আটক আসামী মো: সুমন (২৪), পিতা-মো: জসিম, সাং-হাতিয়াখোলা, দোহাজারী পৌরসভা, থানা-চন্দনাইশ, জেলা-চট্টগ্রাম। একই এলাকার বাসিন্দা হয়।
ভুক্তভোগীরও বক্তব্যে ও এজাহার পুলিশ তথ্য ও ঘটনাক্রমে জানা যায়, আমিও আমার বাবার সাথে কৃষি কাজ করি। দোহাজারী পৌরসভার রায়জোয়ারা জঙ্গলী শাহ মাজারের পাশে আমাদের পান ক্ষেত। আমি বাদী মো: হামিদ জুলহাস (২০), অপহৃত ভিকটিম আমার বাবা মো: মজিবুর রহমান (৪২), ও কাজের লোক ২। মোঃ বাবুল (৪০) কে পরিকল্পিত সুকৌশলে দুর্বৃত্ত দুষ্কৃতিকারীরা অসৎ উদ্দেশ্যে মুক্তিপণের দাবিতে ছিনতায়ই করে অপহরণ করে নিয়ে যাই নির্জন স্থানে।
১৪ ডিসেম্বর রাত ৯টায় ভিকটিম আমার বাবা ও কাজে লোক পান ক্ষেত পাহারা গেলে পরদিন ভোর ৪টায় বাবার ব্যবহৃত মোবাইলে অজ্ঞাতনামা বিবাদী জানায় গত রাতে ভিকটিমদের অপহরণ করিয়া অজ্ঞাত স্থানে আছে। এবং ২০,০০,০০০/-(বিশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপণে দাবি করে। দাবীকৃত মুক্তিপন না দিলে হত্যা করিয়া লাশ গুমের হুমকি ধমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। মুক্তিপণের শর্তে
১,৩০,০০০/- টাকা আমি ও মামা আমির হোসেন ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ টায় চন্দনাইশ থানাধীন দোহাজারী পৌরসভাস্থ হাতিয়াখোলা পাহাড়ের ভিতরে নির্জন জায়গায় টাকা নিয়ে যাই এবং বিবাদীরা অপহৃত ভিকটিমন্বয়কে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নিয়ে আসে।
বিবাদীদের টাকা দিয়া ভিকটিমন্বয়কে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসলে বিবাদী ও আসামি মো: সুমন আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে হাতিয়াখোলা যাওয়ার পথে ভিকটিমন্বয় তাকে চিনতে পারলে স্থানীয় আশপাশের লোকজন আটক করে উত্তেজিত জনতা মারধর করে। বিষয়টি দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে অবগত করিলে ঘটনাস্থল আসামি সুমনকে হেফাজতে নেয় ও পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ও অপরাপর আসামীদের নিয়ে ভিকটিমদ্বয়কে অপহরণ সহ মারধর করিয়া ১,৩০,০০০/- টাকা মুক্তিপন আদায় করিয়াছে বলে স্বীকার করে।
ভিক্টিমকে স্থানীয় হাসপাতালে ও আসামীকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পটানো হয়। আটক আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply