হুমায়ুন,কবির,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ। অথচ গত ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারসহ সকল হাট-বাজারগুলোতে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ,এর এক মাস আগেই সরকার এই ঘোষণা দিয়েছিল। নিষিদ্ধ হওয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না। মঙ্গলবার(২৪ ডিসেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, সবখানে পলিথিন ব্যাগে কাঁচা বাজার মালামালসহ বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যাদি
দেদারসে বিক্রি করছেন দোকানিরা। কোন রকম ভয়ভীতি বা দ্বিধা ছাড়াই ক্রেতারাও পলিথিনে করে এসব মালামাল বাড়িতে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার হাট বাজারগুলোর ক্ষুদ্র দোকানদারা কেজি,কেজি ছোট বড় সাইজের পলিথিন ব্যাগ বিভিন্ন বড় বড় মুদির দোকান থেকে কিনে মালপত্র বিক্রি করছেন। কোথাও চট বা কাগজের ব্যাগের ব্যবহার দেখা যায়নি। পৌর শহরের শিবদিঘি কাঁচা
বাজার,বিরাশি,মহারাজা,হাটখোলা,কোচলক্যাম্প ও চেকপোস্ট বাজার, নেকমরদ, কাতিহার, রাউতনগর ও
গোগর,বলিদ্বারা, ভরোনিয়া হাটসহ প্রায় সমগ্র উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে,অবাধে পলিথিন ব্যবহারের চিত্র। বাজারের কোথাও ক্রেতা-বিক্রেতার হাতে দেখা যায়নি পাটের ব্যাগ কিংবা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। ক্রেতাদের হাতে হাতে দেখা গেছে ৩ থেকে ৪টি মালামাল নেওয়া পলিথিনের ব্যাগ।ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকে জানান, কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি তাঁরা শোনেননি। আবার অনেকে বলেন,পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়ে তাঁরা জানলেও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাঁচাবাজার দোকানদার বলেন,‘ কিছুদিন আগে আমি পলিথিন না ব্যবহার করার জন্য ফেসবুকে দেখেছি। কিন্তু কি করবো, বিকল্প তো কিছুই নাই, তাই বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যবহার করতে হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পলিথিনের ব্যবহার রোধে বাজারগুলোতে দুই একবার ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবারও অভিযান চালানো হবে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply