সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেল:
জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে রাতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে সিরাজুল হক জেলা কৃষক লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীনসহ একদল অনুসারী নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। একপর্যায়ে তিনি প্রকাশ্যে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন এবং দলীয় নেতাদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
ঘটনার পরপরই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এ ঘটনাকে ‘দলের ঐক্যের ওপর সরাসরি আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কারণ বিষয়টি আমি ভালো করে জানি না। আগে জানি, তারপর কথা বলব।
এ বিষয়ে সিরাজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ভাড়া চাইতে গেলে আমার ছেলে বাবুকে মারধর করেছে। আমাকে মারতে আসছে। আমি আমার নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র নিয়ে গেছি। আমি খালি হাতে যাব কেন? ওরা আমার বড় ছেলেকে মেরেছে। আমার বাবার জমি দখল করে পার্টি অফিস করেছে। এক কোটি বিশ লাখ টাকা ভাড়া বাকি আছে, ভাড়া দেয় না।
এ ঘটনায় সিরাজুল হক বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন আহবান করলেও রহস্যজনক কারণে বেলা সাড়ে ১১টায় তা বাতিল করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। তিনি ১৯৯১ সালে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ওই সময় স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ছিলেন।
Leave a Reply