কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও তার ভাইদের দ্বারা একটি দোকানঘর জবর দখলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সসদ্যরা। কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ডের সংলগ্ন নেমো ফিলিং স্টেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সাবেক সেনা কর্মকর্তার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন। সাখাওয়াত হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলা সদরের সাফাইশ্রী মোজার সিএস ২৯ খতিয়ান এবং এসএ ৪৪ খতিয়ানের ১৪ নং দাগে ও ৫৭ খতিয়ানের ১৬ নং দাগে বৈধ রেকর্ডধারী মালিকদের নিকট থেকে তার মা নার্গিস বেগম ১৯৭৩ সালে ৫৭৩৭ নং সাফ কবলা দলীলমূলে মোট ২৫.৫০ শতাংশ জমি কিনে বসত বাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে অদ্যাবধি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু কাপাসিয়া মধ্যপাড়ার জনৈক ইসমাইল হোসেন ওই দাগ সমূহে জমির হিস্যার চেয়ে বেশি মালিকানা দাবিদারদের কাছ থেকে গোপনে ১৬ শতাংশ জমি কিনে নামজারি করে নেন। পরবর্তী সময়ে তার মা নিজের নামে ওই জমি নামজারি করতে গেলে বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে রেকর্ড সংশোধনের একটি মামলা (নং ৪৪৪/২০২১) করেন। যা বর্তমানে স্বাক্ষী পর্যায়ে চলমান রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের সামনের প্রধান সড়ক লাগোয়া তাদের ভোগদখলীয় একটি দোকানঘর ভাড়াটিয়া ছেড়ে দিলে ওই ইসমাইল হোসেনের নাতি আজহার হোসেন দুলাল দখল নেওয়ার জন্য তাতে তালা লাগিয়ে দেয়। এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই তালা অপসারণ করে দোকানঘরের দখল আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই দিন বিকেলে আজহারউদ্দিন দুলাল কান্নাকাটি করে তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে অপমানজনক নানা অপপ্রচার করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। সাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, জমির আসল জিনিস হলো কাগজপত্র, তাই আইনগতভাবে কাগজপত্রের মাধ্যমেই তারা এই বিরোধের ফয়সালা চান এবং মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে আজহার হোসেন দুলাল জানান, প্রায় ৭৩ বছর আগের দলীলমূলে ওই খানে তারা ১৬ শতাংশ জমি পাওনা রয়েছেন। যার অধিকাংশই সাখাওয়াত হোসেন ও তার ভাইয়েরা দখল করে নিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনিও আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
Leave a Reply