
সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ
ছাতক পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাগবাড়ি মহল্লায় জমি নিয়ে দু’পক্ষের পারিবারিক দ্বন্দ্ব মীমাংসার লক্ষ্যে বসা পঞ্চায়েত সালিশ কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ মেনে নিচ্ছেন না গ্রাম পঞ্চায়েত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম একটি পক্ষের হয়ে কাজ করছেন বলে তাদের অভিযোগ।
গ্রাম পঞ্চায়েতকে অবজ্ঞা করে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করায় এ নিয়ে গ্রাম ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় বাগবাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে শনিবার ৪ অক্টোবর দুপুরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, পঞ্চায়েতের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিনের একটি জমির বিরোধ সমাধানের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা নিজেদের মৌলিক বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ এবং ইউএনও একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেন তারা বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
ঐক্যবদ্ধ এলাকাবাসী এ প্রতিবাদ সভা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন বুলির সভাপতিত্বে ও মাসুম আহমেদ’র পরিচালনায়। বক্তব্য রাখেন বাগবাড়ী গ্রামের মুরব্বি হাজী ফজলু মিয়া চৌধুরী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন, স্হানীয় জসিম উদ্দীন সালমান, মেহেদী হাসান সোনা মিয়া, রিয়াজ আহমদ রাজু, দুলন তরফদার, রজত দেবনাথ।
বক্তারা আরো বলেন, বাগবাড়ি গ্রামের মীর আমান মিয়া নিজেকে “সমন্বয়ক” পরিচয় দিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে সরকারি অনেক বৈধ ও অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। সে আদৌ কোন সমন্বয়ক নয়। সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ও থানায় সারা দিন বসে থাকে এবং দালালি করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। এ বিষয়টিতে তার অবৈধ হস্তক্ষেপ রয়েছে। যার ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার পক্ষে এবং তার কথামতো কাজ করতেছেন। এই আমান মিয়ার কারণে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও উদ্বেগ জনক বলে এলাকাবাসী বক্তারা অভিমত ব্যাক্ত করেন।
সভায় মাস্টার সোনাফর আলী, ছালিক মিয়া চৌধুরী রুকন, হাজী বুরহান উদ্দিন, চান মিয়া চৌধুরী, সুলতান মিয়া, সনি আব্দুল্লাহ, বাকি বিল্লাহ, ফখরুল আলম সহ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের হুমকি প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেখানে গিয়েছি।আইনের মধ্যে যেটা করণীয়, আমরা সেটাই করেছি বা করবো।
Leave a Reply