জাহিদুল ইসলাম ///
বাকেরগঞ্জে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠি গ্রামের বাসিন্দা ফজলু মুন্সির বখাটে ছেলে মোর্শেদের তান্ডবে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ, চিহ্নিত উপজেলা ভূমি অফিসের দালাল মোর্শেদ বহুদিন ধরে সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিন্মি করে প্রকাশ্য চালিয়ে যাচ্ছে ভূমি অফিসের দালালী, এ কাজে ইতিপূর্বে জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড ব্যবহার করতেন। কিন্তু জাতীয় পার্টি ক্ষমতা থেকে সরে গেলে জুলাই পরবর্তী মুখোশ উন্মুক্ত হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেনের কাঁধে ভর করে একের পর এক প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে, সদ্য ওয়ার্ড কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে, কিন্তু বিধিবাম বিষয় টি সাবেক এমপি সদ্য নমিনেশন নিশ্চিত আবুল হোসেন খানের দৃষ্টিতে এলে তিনি প্রকাশ্য বিএনপি অফিসে ওর প্রস্তাব নাচক করে উল্টো ওকে মৃদু বর্ষণ করেন। আদতে জামাতের এজেন্ট রেজাউল সরিষার তেল বিক্রেতার সহযোগী হিসেবে বিএনপির ইমেজ নষ্টের পায়তারায় লিপ্ত, ওর চরিত্র এতটাই ভয়ংকর যে ওর হাত থেকে রেহাই পায়নি আপন সহদয় বড় ভাই। ঘটনা সূত্রে জানা যায় বড় ভাইর শালির সঙ্গে প্রেম করে গোপনে বিয়ে করে, বিষয় টি বড় ভাই মেনে নিতে আপত্তি জানালে। ভাইকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি, এক পর্যায় রাগে ক্ষোভে দুঃখে অপমান সহায় করতে না পেরে সেই ভাই হার্টঅ্যাটাক এ মারা যায়। কিন্তু যে স্ত্রীর জন্য এতকিছু সেই স্ত্রী ওর অত্যাচার নির্যাতন সহায় করতে না পেরে একটা বাচ্চা রেখে অন্যর ঘরে পালিয়ে নতুন সংসার করেন। দৈঘ্য ৪ বছর সে সংসারে থাকা স্ত্রীকে অনেক ছলেবলে কৌশলে আবার পূনরায় নিজ ঘরে এনে সংসার করেন। অত্যান্ত বেয়াদব ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মোর্শেদের কারনে অনেক সাংবাদিক ভূমি অফিসের অনিয়ম দুনীতির তথ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের এজেন্ট হিসেবে নামজারী, ভূয়া দলিল রেকর্ড করা ও রেকর্ড ভাঙ্গা সহ বিভিন্ন কাজে সহায়তার বিনিময়ে মাসোহারা ফায়দা নিচ্ছেন। সম্প্রতি জামাত নেতার পূজা মন্ডুপ পরিদর্শন বিষয় সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম একটা বাস্তব রূপ তুলে ধরলে জামাত এজেন্ট মোর্শেদ জামাত প্রার্থীর লোকজন নিয়ে বন্দরের এসপি মার্কেটের পিছনে ডেকে নিয়ে হামলা চালিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয় টি আচ করতে পেরে জাহিদুল দৌড়ে লোকালয় চলে এসে সে যাত্রায় বেঁচে যায়, পরবর্তীতে দলবল নিয়ে বোয়ালিয়া এলাকায় এসে জাহিদুলের উপর হামলা করলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে বোয়ালিয়া ছাড়েন। কিন্তু অপমান ভুলতে পারেনি। দালালি স্পষ্ট উপজেলা প্রঙ্গনে পূনরায় লাঠিসোটা নিয়ে জাহিদুলের পিছনে লাগে। এভাবেই একেরপর এক নাশকতা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ওর নেশায় পরিনত হয়েছে। এর আগে থানা প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে বেশ কিছু দিন মেয়ে নিয়ে কাঠের পোল এলাকায় ঘর ভাড়া করে বানিজ্য করতে গিয়ে তৎকালীন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, তাদের ছাড়াতে গিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থানায় হাজির হলে বিষয় টি জনসম্মুখে প্রকাশ পায়। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্পষ্টে সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত আছে বলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে ওর বিরুদ্ধে। এছাড়া রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান করে জামাত সমর্থীত পান্না মেম্বারের মাধ্যমে বিভিন্ন খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।জোর করে ইউনিয়ন পরিষদের ফেয়ার প্রাইস ডিলার নিজ নামে নিয়ে ব্যপক লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ বিষয় এক মেম্বার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে তাকে রুমের মধ্যে তালাবদ্ধ করে তার উপর ব্যপক শারিরীক মানষিক নির্যাতন করে। বাকেরগঞ্জ সদ্য উদ্বোধনী নিউ লাইফ ক্লিনিকে শেয়ারের নাম করে মালামাল কেনাকাটার নামে তিনজন জামাত নেতার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওর বিরুদ্ধে। কিছু দিন আগে যার এক কাপ চা জুটতো না, পড়নে এক টুকরো কাপড় ছিলো না। সে এখন রাতারাতি আলাদীনের চেরাগ হাতে নিয়ে নিত্য পোশাক পাল্টায়, বিলাসী জীবনে অভ্যাস্থ হয়ে উঠছে, এ কাজে বিএনপি নেতা আনোয়ার মাওলানার ছত্র ছায়ায় বেপরোয়া তাঁকে বাইকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তারই নাম ভেঙে খোদ বিএনপির বহু ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে সুবিধা ভোগী চক্রকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে, খোদ বিএনপি নিধনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অথচ খোদ বিএনপির দলীয় নমিনেশন পাওয়া সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের নির্দেশ উপেক্ষা করে দলে ওকে এত শেল্টার কে দেয় সে বিষয় টি নিয়ে জনমনে প্রশ্নের শেষ নেই। অন্য দিকে জামাতের এজেন্ট হিসেবে জামাতের এমপি প্রার্থীর জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । এ বিষয় ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অষোন্তষ্ট, এছাড়াও জামাত নেতা রেজাউল সহ জামাত ঘরনার বেশ কয়েক জন সাংবাদিক ওকে শেল্টার দিচ্ছে। অথচ আওয়ামীলীগের ১৭ বছর ক্ষমতার আমলে উপজেলা পারিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম কে খালা পরিচয়ে উপজেলা ও থানায় দালালি করে, নিজের ব্যক্তিগত বাড়ির রাস্তা ইট সলিং করে, কৃষি অফিসে প্রভাব খাটিয়ে এলাকার কৃষকের নাম দিয়ে কৃষকের কার্ড করিয়ে অসংখ্য কৃষককে বঞ্চিত করে গোপনে নিজে খাদ্য গুদামের টনকে টন ধান বিক্রি করে। সেই আমলে সুবিধা ভোগ করছে। এখনো ভূয়া কৃষকদের কার্ডে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে সব রকমের সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। বিষয় টি সচেতন মহলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।