লাখাই(হবিগনজ)প্রতিনিধিঃ
লাখাইয়ের বুল্লাবাজারে সিরাজ মিয়ার হাতে বাজারের তালিকা, কিন্তু দাম দেখে চোখ কপালে উঠছে সিরাজ মিয়ার মত ক্রেতাদের।
বুধবার (১লা অক্টোবর ) লাখাইয়ের বুল্লাবাজারে সবজি কিনতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন চাকরিজীবী গোলাম রাব্বী। তার মতো অনেকেই বলছেন, শুধু সবজি কিনতেই পুরো বেতনের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম।
লাখাইয়ের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা, শিম ২০০/২২০ টাকা, আর কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০/৪০০ টাকায়। এছাড়া আলু ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা, গাজর ৭০-৯০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ ৬০-৮০ টাকা আর চালকুমড়া ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে মাঠে ক্ষতি হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদা থাকলেও বিক্রি কম হচ্ছে, আর দামও বেড়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম বাড়ায় অন্য নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে কম পরিমাণে।
যদিও কিছু শাকপাতার দাম তুলনামূলক কমেছে। প্রতি আঁটি কলমি, লাল ও পাটশাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়, ডাঁটাশাক ৩০ টাকায় এবং পুঁইশাক ৪০ টাকায়।
বামৈ বাজারে সবজি কিনতে আসা জালাল মিয়া বলেন, আমি ঢাকা ছোট্র একটা ব্যবসা করি, ২মাস পর বাড়ীতে আসলাম,আজকে চারদিন ধরে সবজি কিনতেছি আমার সব টাকাই শেষ,এত দাম দিয়ে যদি সবজি কিনতে হয় তাহলে অন্যান্য জিনিষ কি দিয়ে কিনব।
এ দিকে মাছের বাজারেও চাপ রয়েছে। রুই ৩৮০-৪৫০ টাকা, কাতল ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, আর কাঁচকি ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ, দেশিয় হাওরের মাছতো নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের কপালে জুটবেই না, সরেজমিনে বুধবার(১লা অক্টোবর) বুল্লা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, লাখাইয়ের বিভিন্ন হাওরের দেশীয় মাছ যে পরিমাণে উঠেছে তার ১০ গুণ ক্রেতা দাঁড়িয়ে আছেন।
এ দিকে চালের বাজারে নতুন করে কোনো পরিবর্তন হয়নি। মিনিকেট ৮০-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকা এবং মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Leave a Reply