মোহাম্মদ মাসুদ
ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে ১৭৯ তম বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস এবারো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সকল পর্যায়ের এ্যানেথেসিওলজিস্টস ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে বিএসএ-সিসিপিপি চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হবে নানা ধারাবাহিক কার্যক্রমে ।
আগামীকাল ১৬ ই অক্টোবর ১৭৯ তম বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো – জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় অবেদনবিদ্যা।
চমেক এর নতুন একাডেমিক ভবনের নীচতলার কনফারেন্স রুমে আগামীকাল সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম এর সকল পর্যায়ের এ্যানেথেসিওলজিস্টস ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে বিএসএ-সিসিপিপি চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে কেক কাটা, বেলুন উড্ডয়ন ও মনোরম রেলির মাধ্যমে এ দিবসটি উদযাপিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে আগামী ১৭ ই অক্টোবর সন্ধ্যা ৭-০০ টায় চট্টগ্রাম ক্লাবে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় অবেদনবিদদের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোভিড, ডেংগু ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় কোভিড আইসিইউ এর দায়িত্ব পালন, ট্রমা সার্জারীতে এ্যানেসথেসিয়া ও এটিএলএস সেবা প্রদান, হৃদরোগে হৃদ যন্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে সিপিআর প্রদান, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরবর্তী এ্যানেসথেসিয়া ও আইসিইউ সেবা প্রদান এবং যুদ্ধকালিন কিংবা মানব সৃষ্ট সংকটে হতাহত মানুষের সেবা প্রদান এ্যানেসথেসিওলজি ও আইসিইউ সেবা প্রদান অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
কোভিড পেনডেমিকের সময় এবং ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হতাহত ছাত্র- জনতার চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ও অপারেশন থিয়েটারে এ্যানেসথেসিয়া ও আইসিইউ বিভাগের কার্যক্রমে এ্যানেসথপসিওলজিস্টদের এর ভুমিকা অবিস্মরণীয়। এ্যানেসথেসিওলজি হলো জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় একটি মানবিক দায়িত্ব।
উল্লেখ্য : ১৮৪৬ সালের ১৬ ই অক্টোবর ম্যাসাসুটস এর বোস্টন হাসপাতালের ইথার ডোমে ইথার দিয়ে প্রথম বিজ্ঞানসম্মত এ্যানেসথেসিয়া প্রদান করা হয়। এরপর প্রতি বছর এ ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে বিশ্ব এ্যানেসথেসিয়া পালিত হয়।
Leave a Reply