মোঃ নিজাম উদ্দিন(সিলেট) প্রতিনিধি :
সিলেটের গেয়াইনঘাট উপজেলায় আকষ্মিক পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। স্থায়ী রুপ নিচ্ছে বন্যা। উপজেলার সাথে ৭ টি ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকয়া চরম দূর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধীক মানুষ। হাওরাঞ্চলে কয়ক হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন।
১৩ জুন থেকে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা যেন তীলে তীলে গ্রাস করছে গোয়াইনঘাট উপজেলাকে।ভারী বর্ষনে বাড়ছে পানি,আতংকিত রয়েছেন এলাকাবাসি। উপজেলার উনাই হাওর ,বঙ্গবীর ট্রানিং,ও তোয়াকুল ব্রীজ নির্মানে ধীরগতি থকায় তোয়াকুল, নন্দিরগাঁ,রুস্তমপুর,পশ্চিম জাফলং, সদর, পূর্ব ও মধ্যজাফলং ইউনিয়নের উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গোয়াইনঘাট রাধানগর রাস্তা রয়েছে অনেকাংশে নিমজ্জিত। বিভিন্ন ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের অর্ধলক্ষ মানুষ রয়েছেন পানি বন্দী। উনাই হাওরে বাইপাশ সড়ক নিমজ্জিত থাকায় উত্তর গোয়াইনঘাটবাসী জনসাধারণের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ঐ এলকার বাজারগুলোতে নিত্য পণ্য সরবরাহ হচ্ছে বিঘ্নিত।গোয়াইনঘাটে দিনের বেলায় ও বিরাজ করছে সন্ধ্যার ঘোর অন্ধকার। দিন মজুর শ্রমীকরা বেকার থাকায় মানবেতর দিন কাটাতে হচ্ছে।
তলিয়ে গেছে গো- চারণভূমি। রাতে পানি বৃদ্ধিপেলে বড়ধরনের বিপদের শঙ্কায় রয়েছেন জনসাধারণ।
উপজেলার ত্রান ও দূর্যেগ শাখার কর্মকর্তা (পিআইও) শীরষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ত্রান রয়েছে, ৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিপুলসংখ্যক উদ্ধারকারী দল রয়েছে।আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। সকল জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দেয়া হয়েছে । এখনও সেই রকম কোন পরিস্থিতি দেখা দেয়নি।
গোয়াইনঘাটে গেল বছরের ভয়াবহ বন্যার আতংকে এবারও আতংকিত রয়েছেন জনসাধারণ।
ব্রীজ নির্মানে ধীরগতির করণে উনাই হাওরে চরম দূর্ভোগে জনসাধারন।(২) পানিবন্দী কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ।
Leave a Reply