মোঃ কামাল পারভেজ,গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি
গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রী ও তার নানির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অজ্ঞাত একজনসহ মোট পাঁচ জনের বিরোদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল (১৮ জুন)রোববার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলাটি করেন।
এদিকে এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন (২৬) নামে তাঁদের এক স্বজনকে গ্রেপ্তার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
তিনি ওই স্কুলছাত্রীর সৎভগ্নিপতি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাব্বির ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকার গোলাম মোস্তাফার ছেলে।
দগ্ধ নানি–নাতনি হলেন গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৩) এবং তার নানি ঝালকাঠির নলছিটি থানার কাণ্ডপাশা গ্রামের ইউনুস তালুকদারের স্ত্রী বেবী বেগম (৫৫)। সানজিদা শিরিরচালা এলাকার হাজী নুরুল ইসলাম মডেল একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্হানিয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সানজিদা তার নানি বেবী বেগমের সঙ্গে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরছিলো। পথে তার সৎভাই শুভ ও সৎভগ্নিপতি সাব্বির অন্যান্য আসামি সহ মোটসাইকেলে করে কাঁঠালবাগান এলাকায় এসে তাঁদের গায়ে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে( ঢাকায়) নেওয়া হয়। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
সোমবার সকালে শফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর মেয়ে ও সাবেক শাশুড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সকাল থেকে তাঁদের দুজনকেই রক্ত দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাঁদের দুজনের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, দগ্ধ সানজিদার বাবা মামলা করার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের কে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দগ্ধ সানজিদার বাবা শফিকুল ইসলাম প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মনিরা বেগমকে বিয়ে করেন। মনিরার প্রথম পক্ষের ছেলে শুভ মিয়া কিছুদিন আগে একটি মেয়েকে নিয়ে শফিকুলের বাড়িতে আসেন।
সানজিদা ঘটনাটি তার বাবাকে জানালে তিনি শুভকে বকাঝকা করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর মনিরা বেগমও বাড়ি থেকে চলে যান। শফিকুল সন্তানদের দেখাশোনার জন্য প্রথম পক্ষের শাশুড়ি বেবী বেগমকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন তারি জেরে মেরেফেলার চেস্ঠা করেছিল আসামিরা।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply