সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেলঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে আরও ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানভীর আহমেদ এ নির্দেশ দেন। এর মধ্যে দুই আসামি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গতকাল বুধবার রিমান্ড শেষে অপর ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে রিমান্ড শেষে ১২ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হলো।
বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলো- রেজাউল করিম, মো. মনিরুজ্জামান, মো. মিলন মিয়া, মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. তোফাজ্জল ও আয়নাল হক। তাঁদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে রেজাউল করিম ও মো.মনিরুজ্জামান ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বুধবার কারাগারে পাঠানো ছয় আসামি হলেন জাকিরুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহিদুর রহমান, মো. মুকবুল ও মো. ওহিদুজ্জামান। তাঁদের সবার বাড়ি বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জামালপুরের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান আলী বলেন, চার দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছয় আসামির মধ্যে দুজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন জামালপুরের বকশীঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুলের নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা করে একদল সস্ত্রাসী। এ সময় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও বেদম মারধর করা হয়। হামলার সময় রব্বানির মাথায় আঘাত করেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত। একপর্যায়ে রব্বানি অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরের দিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। একই সঙ্গে তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply