স্টাফ রিপোর্টারঃ
চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন। রাজধানীর দক্ষিণখান-উত্তরখানে বেশ কয়েক বছর ধরে দাপটের সাথে একেক সময় একেক গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে নামধারী কিছু সাংবাদিক নিলা, নাজমা, শুভ, বিল্লাল, হযরত আলী রানা, রিতাসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে একটি সিন্ডিকেট করে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ ব্ল্যাকমেইলিং করে আসছিল বলে জানা গেছে। এদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলাও রয়েছে। গত ২৪/০৬/২০২৩ইং মোঃ হেমায়েত উদ্দিন ওরফে সোহেল কাজী দক্ষিণখান থানায় উল্লেখিত সকলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর- ৪৮, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৪২৭/৩৮৫/৩৮৬/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়। মামলার আসামীরা কৌশলে মামলার বাদীর সাথে কসমেটিক্স ক্রয়ের বিষয়ে সম্পর্ক স্থাপন করে ঘটনার দিন বাদীকে দক্ষিণখান থানা এলাকার এমারত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে আইনুজবাগ কলেজ রোড, বাসা নং- ৩০/১, আসতে বললে বাদী আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার সময় সেখানে পৌঁছালে উল্লেখিত আসামীগণসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৫-৬ জন আসামী মামলার বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে বর্ণিত বাসার নিচতলার একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। মামলার আসামীরা বাদীর নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তারা জোর করে বাদীর জামা কাপড় খুলে নগ্ন ছবি ভিডিও করে, টাকা না দিলে ভিডিও বাজারে ছেড়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে বলে ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে তারা তাকে নিয়ে বাদীর দোকানে যায়, সেখান থেকে দশ হাজার টাকা নেয়। তাদের মধ্যে কথিত সাংবাদিক রানা তার দোকান থেকে ৫ হাজার টাকার কসমেটিক্স নেয়। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাদীর ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে নিলা ও নাজমাকে আটক করে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। বাকী আসামীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে তারা জানায়, দক্ষিণখান থানা পুলিশ তৎপর হয়ে বাকী আসামীদেরকে আটক করার নিমিত্তে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। উল্লেখ থাকে, বেশ কিছুদিন আগে এসকল তথাকথিত সাংবাদিক নামধারী ব্ল্যাকমেইলাররা তাদের মূলহোতা উত্তরখান মাজার এলাকার মামুন খান, রোহান, শিমুলের নেতৃত্বে উল্লেখিত মামলার পলাতক আসামী রানা ও তার সহযোগী ঝর্ণা আক্তার মিতু, নিলা ও নাজমা বেগম মিলে একজন মূলধারার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক এ.আর মজিদ শরীফকে ব্ল্যাকমেইলিং করার চেষ্টা করলে অবশেষে অন্যান্য সাংবাদিক এবং উত্তরখান থানার সাবেক ওসি হেলাল উদ্দিন মিলে শরীফকে উদ্ধার করে ব্ল্যাক মেইলারদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়। এসব কথিত সাংবাদিকদের যন্ত্রণায় দক্ষিণখান-উত্তরখানের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে কথিত সাংবাদিক নেশাগ্রস্থ রিতা কিছুদিন আগে তার স্বামী সাগরকে উপুর্যপুরি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় মারাত্মক জখম করে এবং সংশ্লিষ্ট মামলায় বেশ কিছুদিন জেল হাজতে ছিল বলে জানা যায়। এসব নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণে এবং বর্তমানে তারা এলাকায় না থাকার কারণে দক্ষিণখান-উত্তরখানজুড়ে বসবাসরত মানুষের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদেরকে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এই ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা মিষ্টি বিতরণ করেছে বলেও জানা যায়। এ বিষয় নিয়ে উত্তরা জোনের উপ পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এদের বিরুদ্ধে অনেকদিন যাবৎ বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল। আমরা একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। অন্যদিকে দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এই দূর্বৃত্তদেরকে প্রকৃত সাংবাদিক ও সম্পাদকরা যেন কোন রকম আশ্রয় প্রশ্রয় না দেন এ বিষয়ে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply