বিশেষ প্রতিনিধি
দীর্ঘ ২৮বছর পর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার চাঞ্চল্যকর “কালু ফকির”হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানাধীন কুর্শাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।
অদ্য ২৮জুন,সকাল সাড়ে ৫টায় গফরগাঁও থানাধীন কুর্শাপুর এলাকা থেকে আসামী শাহজাহান ফকির (৬৫),পিতা- মৃত ফালু ফকির,গ্রাম-চান্দরাটি,থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহ’কে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে,ভিকটিম কালু ফকির (৫০) ও আসামীগণ পরস্পর আত্মীয়-স্বজন ও ভাগিশরিক। অনুমান ১৯৯৫সালে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় জমিজমার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ভিকটিম কালু ফকির ও আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির (৬৫) সহ অপর ৮আসামীদের সাথে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয় এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালের ১৮ জুলাই ভিকটিম কালু ফকির(৫০) চান্দরাটি বাজার থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে ফেরার পথে ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউপির চান্দরাটি সাকিনস্থ ঘটনাস্থলের পাশে কলা বাগানে বিবাদী শাহজাহান ফকির সহ অন্যান্য আসামীগণ উৎ পেতে থেকে আসামী শাহজাহান ফকির এর হুকুমে আসামী আনিস ও আলম অপর আসামীগনদের সহায়তায় অবৈধ ভাবে ভিকটিম কালু ফকির‘ কে একা পেয়ে তার পথরোধ করে উপুর্যপরি মারধর করতঃ মাছ ধরার কোচ দিয়ে পেটে আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখমে ঘটনাস্থলেই নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া খাতুন (৩৮) বাদী হয়ে আসামী শাহজাহান ফকির’সহ আরো ৮জনের বিরুদ্ধে ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে।
প্রকাশ থাকে যে,চলতি বছরে ১৩জুন উক্ত মামলার আসামী মোঃ শাহজাহান ফকির,মোঃ আনিস,মোঃ আলমদেরকে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত,ময়মনসিংহ যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান ও অপর ৬আসামীকে খালাস প্রদান করেন। র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে,সেই প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। আসামীকে ভালুকা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন
অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply