ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি॥
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা ছাত্র মুরাদ হোসেন (১১) হত্যার বিচার ও প্রধান আসামীর জামিন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় শহরের মূল সড়কে বসে সড়ক অবরোধ করে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
রোববার ১৬ জুলাই সকালে শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা মুরাদ হত্যার সুষ্ঠু বিচার সহ মামলার প্রধান আসামির জামিন বাতিলের দাবি জানায়। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে তারা রাস্তায় বসে পড়লে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় নিহতের স্বজনদের ও এলাকাবাসীদের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের সরিয়ে নিলে পরবর্তীতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমানের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন মুরাদের বাবা দারুল ইসলাম, মা মুক্তা বেগম, এলাকাবাসীর পক্ষে রনজিৎ, পারুল, শরিফুল ইসলাম, রেখা রানী, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
মুরাদের মা মুক্তা বেগম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে মাসুদ (২১) কে পুলিশ গ্রেফতার করে তিন দিনের রিমান্ড নেয়। রিমান্ডে মুরাদ হত্যার সাথে সে জড়িত ছিল বলে গুরুত্বপুর্ন তথ্য দিলেও তাকে কিছুদিন পরেই জামিন দেওয়া হয়। মাসুদের জামিনের পর থেকেই সে ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের হত্যা ও আমার স্বামীকে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এ কারনে মুরাদের হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, সেই সাথে মাসুদের জামিন বাতিল করে পুনরায় তাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার জানান, মুরাদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একজন তো রয়েছেই, এছাড়ও আরও ২ জনের সম্পৃক্ততার ধারনা থেকে তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত ৪ মে সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী একটি ভুট্টা ক্ষেতে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় শিশু মুরাদের মরদেহ । এ হত্যা মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে জামিন পায় আসামি। মুরাদ মাদারগঞ্জ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ‘খররা’ এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের ছাত্র ছিল।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply