রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে অবস্থিত লক্ষিপুর চৌরাঙ্গী জামে মসজিদ।বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরেই স্থানীয় বাসিন্দা মরহুম আতর আলী তার জমিতে মসজিদটি স্থাপন করে কালের বিবর্তনে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে টিনশেড থেকে মসজিদটি আধুনিকায়ন হয়ে বর্তমান রুপে নির্মান হচ্ছে। এই মসজিদ নির্মান নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে কাজিহাটানিবাসী আমিনুর রহমান বাচ্চু আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন। গত ২০ জুলাই মসজিদ কমিটির সভাপতি ডা. ইকবাল বারীসহ আটজনের নামে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন। এ ছাড়া মসজিদের নির্মাণকাজ যাতে আইনসম্মতভাবে করা হয়, তার জন্য রাজশাহীর সিভিল আদালতে আরেকটি মামলা করেন। বাদী আমিনুর রহমান বাচ্চু মামলার অভিযোগে বলেন, তিনি একজন মুসল্লি হিসেবে লক্ষ্মীপুর চৌরঙ্গী মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। আসামিরা অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা মসজিদ কমিটির বিভিন্ন পদের নেতা। সাততলা চৌরঙ্গী মসজিদটির নির্মাণকাজ বেআইনিভাবে চলছে। আসামিরা কোনো প্রকার নকশা বা বিধিবদ্ধ প্ল্যান ছাড়াই মসজিদের নিচতলায় ২৬টি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। মসজিদটিতে আগে নিচতলায় নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন মুসল্লিরা। গত ১৭ জুলাই মাগরিবের নামাজের পর মুসল্লিরা কোনো নকশা অনুমোদন ছাড়াই মসজিদের নিচতলায় ২৬টি দোকানঘর নির্মাণ ও বিক্রির প্রতিবাদ করেন। এ সময় আসামিরা কয়েকজন মুসল্লির ওপর হামলা চালান। এতে বাচ্চুসহ তিন মুসল্লি আহত হন। আহত হবার ঘটনায় প্রথমে রাজপাড়া থানায় একটি জিডি করেন এর পর পুনরায় বাচ্চুর সাথে মসজিদ কমিটির বাগবিতণ্ডা হলে রাজ পাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ধরাবহিকতায় তিনি মামলা দায়ের করেন। আমিনুর রহমান বাচ্চু মামলায় অভিযোগ করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ সকলে বিভিন্ন অনিয়ম করে অসদুপায়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে চৌরাঙ্গী মসজিদ কমিটির সভাপতি ডাঃ ইকবাল বারী বলেন “মসজিদ নির্মানে কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতি করা হয়নি মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষর নামে যৌথ ব্যাংক একাউন্ট আছে আপনারা যে কোন সময় অডিট বা তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন”। মামলার বিষয়ে সভাপতি ডাঃ ইকবাল বারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলার বিষয়টি জানেন এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সুষ্ঠ তদন্তের দাবিও জানান। আমিনুর রহমান বাচ্চুর দায়ের করা মামলার বিষয় নিয়ে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমিনুর রহমান বাচ্চু উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ঈর্ষাণীত হয়ে এসব কাজ করছে। আমরা মসজিদ কমিটি মসজিদের উন্নয়নের জন্য নিরলস নিঃর্সাথক ভাবে কাজ করছি এখানে আমাদের কোন ব্যাক্তি স্বার্থ নাই। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নতুন ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে মসজিদের ক্ষতি করে এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা প্রদান করে যা দিয়ে মসজিদের পশ্চিমে ৩ কাঠা জমি ১ কোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়, অবশিষ্ট টাকা
মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়। এছাড়াও মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে নিচ তালায় ২৬ টি দোকান নির্মান করা হয় যার মধ্যে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ টি দোকান এককালীন সালামী দিয়ে পজিশন বিক্রি করা হয় ৬ টি দোকান পূর্বের মালিকদের দেয়া হয় অবশিষ্ট ১০ টি দোকান সরাসরি মসজিদের মালিকানায় রাখা হয়েছে এগুলো বিক্রি করা হবে না মসজিদ ও মাদ্রাসার খরচের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে । মসজিদ কমিটির সদস্যরা সকলে দোকান কিনেছে এমন অভিযোগের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন মসজিদ কমিটির কোন সদস্যই দোকান নেয়নি শুধু মাত্র একটি দোকান সভাপতি ডাঃ ইকবাল বারীর স্ত্রী ডাঃ তানজিলা আলম কিনেছেন, সেটাও আমাদের অনুরোধে। দীর্ঘ ১০/১১ মাস মসজিদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে লিখে আমরা মসজিদের সামনে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রাখি সব সব দোকানের পজিশন বিক্রি হয়ে একটি দোকান বিক্রি হচ্ছিলো না আর মসজিদের নির্মান কাজে আর্থিক সংকট দেখা দেয় তখন আমরা সভাপতি ডাঃ ইকবাল বারী কে অনুরোধ করলে সে তার স্ত্রীকে একটি দোকান কিনতে বলে। সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু আরো বলেন ডাঃ তানজিলা আলম-ই একমাত্র ক্রেতা যে সালামীর সম্পুর্ণ টাকা পরিশোধ করে। তাছাড়া এখনো কোন মালিক সম্পুর্ণ টাকা পরিশোধ করেনি। মামলার অভিযোগে নক্সা অনুমোদনের বিষয় সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু বলেন প্রথমে আমরা দশতালা মসজিদের নক্সা অনুমোদনের জন্য আরডিএ জমা দিয়েছিলাম আরডিএ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ৮ তালার নক্সা অনুমোদনের জন্য নক্সা সংশোধন করে জমা দিতে বলে আমরা সেভাবেই জমা দিয়েছি এবং মসজিদের নিচ তালায় মার্কেট উল্লেখ করা আছে, আশা করি খুব দ্রুত নক্সা অনুমোদন হবে তাছাড়া ভূমি ব্যাবহারের ছাড়পত্র আমরা পেয়েছি বিধায় আমরা নির্মান কাজ করছি। দ্বিতীয় তলায় নামাজ ও জানাযার বিষয় নিয়ে বলেন প্রখ্যাত আলেমদের সাথে পরামর্শ করেই দ্বিতীয় তলা থেকে নামাজের স্থান নির্ধারন করা হয়েছে এবং পশ্চিমদিকে জানাযা আদায়ের সুবিধার্থে সিঁড়ি করা হয়েছে যাতে লাশ নিয়ে উঠতে কোন সমস্যা না হয়। এমনকি রাজশাহীতে আমরাই মসজিদে লিফটের ব্যাবস্থা করেছি যাতে করে বৃদ্ধ মুসল্লীদের উপরে উঠতে কোন সমস্যা না হয়। মসজিদের বিষয় নিয়ে অভিযোগ ও মামলা করার কারন নিয়ে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি মোঃ শফিকুজ্জামান সুজন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অভিযোগ কারি একজন স্বার্থবাদী মনোভাবের মানুষ তিনি আমার কাছে দোকানের পজিশন কেনার জন্য আসে দোকানের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে কমে পজিশন নিতে চাইলে আমি সহ মসজিদ কমিটির সকলে কম মুল্যে মসজিদের পজিশন বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করি এতেই তার রাগ। আমিনুর রহমান বাচ্চু ইতিপূর্বে ও বেশ কয়েকটি মসজিদে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মুসল্লীদের মাঝে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি করে এবং সেসকল মসজিদে আর নামাজ আদায় করতে যেতে পারে না। অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয় নিয়ে তিনি বলেন মসজিদের এ পর্যন্ত আয়-ব্যায় সকল কিছুর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে আদালত তদন্ত করলে আমরা অবশ্যই দিবো। এছাড়া তিনি জানান মসজিদের একাউন্টে প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা জমা আছে যা দিয়ে মসজিদের উন্নয়নের কাজ চলমান। তিনি আরও বলেন এই সমস্
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply