নিজস্ব প্রতিবেদক :-
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ২১ নং ওয়ার্ড এনায়েত নগরের প্রবাসী মনির হোসেনের ছোট মেয়ে মাহমুদা আক্তার নিশা ( ২৮ ) এবং তারই বন্ধু ভোলার চরফ্যাশন এর তাইফ রায়হান ( ২৭ ) পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নারায়ণগঞ্জ এর একজন স্থানীয় ব্যক্তির স্ত্রী এবং ইতালী প্রবাসীর স্ত্রীর সম্মানহানি করার উদ্দেশ্যে তাদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃতভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে।
২০শে জুন ( মঙ্গলবার ) মাহমুদা তার নিজের Mahmuda Nisha নামের ফেইসবুক আইডি থেকে এই চরম জঘন্য কাজটি করার পর সেই ইডিট করা ছবিগুলো ভুক্তভোগী ইতালী প্রবাসীর ইনবক্সে দিয়ে সরাসরি সম্মানহানি করার হুমকি দেয়।
এছাড়াও তাইফ রায়হান তার নিজের Taif Raihan নামের ফেইসবুক আইডি থেকে সেই ছবিগুলো বিভিন্ন ইনবক্সে ইনবক্সে ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ এর স্থানীয় বাসিন্দা এবং ভুক্তভোগী একজনের স্বামী রাহাত খান বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেছেন আসামী মাহমুদা আক্তার নিশা ছিলেন ভুক্তভোগীর ভাইয়ের স্ত্রী।
প্রায় দীর্ঘদিন নিশা কোনো রকম কারন ছাড়াই তার বাবার বাড়িতে চলে গিয়ে আর ফিরে আসে নাই। আর সেই ক্ষোভ থেকেই বিবাদী মাহমুদা আক্তার নিশা তার শশুরবাড়ির লোকদের সম্মানহানি করার উদ্দেশ্যেই এই অপরাধ ঘটিয়েছে।
এর আগেও বিবাদী মাহমুদা আক্তার নিশা ও তার বড় বোন খালেদা আক্তারের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করা আছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা সহ তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই জঘন্যতম অপরাধের সুষ্ঠু এবং কঠিন বিচার কামনা করলেও অভিযোগ উঠে যে, বাদী রাহাত খান নিজের কোনো অজানা স্বার্থে বিষয়টি নিজে নিজে মিমাংসা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ঘটনার প্রায় দের মাস পর বাদী রাহাত খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেন নাই। এই দের মাসে বাদী রাহাত খান বিভিন্নভাবে নিজ স্বার্থে ঘটনাটি অন্যদিকে মোর দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
এই বিষয়ে ঘটনার তদন্তে থাকা বন্দর থানার সাব ইন্সপেক্টর আঃ সামাদের সাথে ৩ই আগস্ট ( বৃহস্পতিবার) রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাদীপক্ষই তো মামলার বিষয়ে আগ্রহ না। বাদীপক্ষ আগ্রহ হলে আমরা মামলায় যাবো।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply