নিজস্ব প্রতিবেদক
(আরএসআরএম) রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস গ্রুপ সম্পত্তির ‘ক্ষমতা’হারাল ১৮ কোটি ২ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায়। চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থ ঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
একইসঙ্গে মেডিয়েশন বিষয়ে পদক্ষেপ এবং রিসিভারের প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
জানা যায়,সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৪ মার্চ ০৩ নালিশী ঋণ পুনঃতপশীল করা হলেও বিবাদিরা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেননি। বন্ধকী সম্পত্তি থেকে বিবাদিরা মাসিক ভাড়া বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করলেও ব্যাংকে পুনঃতপশীল সূচি অনুযায়ী একটি কিস্তির টাকাও পরিশোধ করেনি।
অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ১২(৩) ধারা মোতাবেক বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের জন্য পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি প্রচার করলে বিবাদিরা হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করে। ওই মামলার স্থগিতাদেশের কারণে নিলাম বিক্রি সম্ভব হয়নি।
তবে রিসিভার ভবনের বর্তমান ভাড়াটিয়াদের এবং পরিচালনকর্মীদের যৌক্তিক কারণ ছাড়া উচ্ছেদ করতে পারবেন না। সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদন করতে পারবেন এবং বন্ধকদাতার বর্তমানে নিযুক্ত কোনো পরিচালনকর্মীকে অব্যাহতি দিতে পারবেন না।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,২০২৩ সালের ৮ আগস্ট মার্কেন্টাইল ব্যাংক চট্টগ্রাম জুবিলী রোড শাখা আগে আরএসআরএম গ্রুপের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮১ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
২০১১ সালে আরএসআরএম গ্রুপের রতনপুর শিপিং লাইনস লিমিটেড মার্কেন্টাইল ব্যাংক চট্টগ্রাম জুবলি রোড শাখা থেকে ঋণ নেয়। মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অনুযায়ী বিবাদিরা ঋণ পরিশোধ করেননি। অনিয়মিতভাবে ঋণের কিছু অংশ পরিশোধ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধ না করায় দুইবার নালিশী ঋণ পুনঃতপশীল করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন আরএসআরএম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রতনপুর শিপিং লাইনস লিমিটেড ও এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির দুই পরিচালক মিজানুর রহমানের বাবা মাকসুদুর রহমান ও চাচা মো. ইউনূস ভূঁইয়া।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply