ওসমান গনি,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা টেংগারচর ইউনিয়নে বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জানা যায় টেংগারচর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মিজানের বসত ঘরে অগ্নিকান্ড ঘটে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মিজান শেষ সম্ভব হারিয়ে বুক ফাঁটা কাপা কান্না আর তার অসুস্থ স্ত্রীর নারগিসের আহাজারিতে আগুনে পুড়ার গন্ধে পুরো এলাকা যেনো শ্মশানে পরিণত হয়ে আছে।
মিজান জানায়,আজ আমি অসহায়,আমার গায়ে এ লুঙ্গিটা ছাড়া আমার সম্ভব বলতে আর কিছু নাই,আমি প্রতিবন্ধী মানুষ ভালো করে হাঁটতে পারিনা।এ বাঁশের লাঠিই আমার সম্ভব।এক নিমিষে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।আমার স্ত্রীর কষ্টের সংসার আগুনে কেরে নিয়ে গেছে,আমার পুলার আর বিদেশ যাওয়া হলো না।না খেয়ে কষ্ট করে কাজ কে আমার পুলাডারে বিদেশ পাঠানোর জন্য দেড় লাখ টাকা জমাইছি সব আগুনে শেষ করে দিল।
প্রতিবন্ধী মিজানের স্ত্রী নারগীস জানায়,ঘর থেকে কিন্তু বাহির করতে পারিনাই।ঘরে বিতর একটা ফ্রিজ,শোকেস,আলমারী,মোটর,দুইটা ফ্যান,গ্যাসের চুলা,চার ড্রাম চাউল,ছেলের বিদেশ পাঠানোর জন্য নগদ দেড় লাখ টাকা,পাসপোর্ট,তার ব্যবহিত আট আনা স্বর্ণের জিনিস সহ ঘরের আসবাবপত্র কিছু বাহির করতে পারে নি তারা।আগুনে পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যার আনুমানিক মূল্য ৬থেকে৭ লাখ টাকা মত বলে জানান মিজান ও তার স্ত্রী।
আগুনের সূত্রপাত জানতে চাইলে,নারগীস বেগম রান্না করার এক পর্যায় ঘরে এসে পুনরায় রান্না ঘরে এসে দেখে আগুন।তার চিৎকারে আশে পাশের মানুষ এসে আগুন নেবানোর আগেই পুড়েছাই হয়ে গেছে প্রতিবন্ধী মিজানের স্বাজানো স্বপ্ন।পরে ঘটনা স্থলে গজারিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা উপস্থিত হয়।আগুনের সূত্রপাত প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে রান্নাঘরের আগুন থেকে।
প্রতিবন্ধী মিজান প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য সহযোগীতা চান।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply