কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের পাকিয়াবো গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ১৫টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। মোসাম্মৎ শাহিনূর নামে তাদের এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে রাস্তাটি বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তাটি বন্ধ করায় পরিবারগুলো ১৮ দিন ধরে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েছে।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, চলাচলের জন্য একটি মাটির রাস্তা। বাঁশ কেটে গাছ ফেলে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার কিছু দূর পর আড়াআড়িভাবে টিন দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। এতে পুরো রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,পুরো রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ছিল ১০০ ফুট ও প্রস্থ ৫ ফুট। অন্তত ২৫ বছর ধরে ওই সব পরিবার রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করত। হঠাৎ গত ১৪ আগষ্ট প্রতিবেশী শাহিনূর ও জহরআলী মিলে রাস্তাটিতে বাঁশের বেড়া ও গাছ ফেলে রাখে। পরিবারগুলো বাধা দিতে গেলে তিনি রাস্তার মধ্যে আড়াআড়িভাবে আরও একটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ১৫টি পরিবারের সদস্যরা বেকায়দায় পড়েছেন।
অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য কলিম উদ্দিন বলেন, ‘১৫টি পরিবারের সদস্যরা জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় করেন। সবাই শান্তিপ্রিয় মানুষ। যে ব্যক্তি রাস্তাটি বন্ধ করেছেন, তিনি একজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে ওই রাস্তাটি দিয়ে পরিবারগুলো চলাচল করছে। হঠাৎ করে শাহিনূর গং তাঁরা নিজের জমি দাবি করে রাস্তাটি দখল করে নেন। রাস্তার মধ্যে গাছ ফেলে ও টিনের বেড়া দিয়েছেন। ১৮ দিন ধরে চলাচলে আমরা বেকায়দার মধ্যে রয়েছি। রাস্তাটি ছেড়ে দিতে শাহিনূর ও জহরআলী প্রথমে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন এবং ১০ হাজার টাকা বায়না করেন।অনেকটা বাধ্য হয়ে আড়াই লাখ টাকা দিতে রাজি হলে, এখন তিনি ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।’
অবরুদ্ধ পরিবারের আরেক সদস্য তৌহিদ মিয়া বলেন,২০ বছরের মধ্যে রাস্তার জায়গাটি তাদের বলে দাবি করেননি। হঠাৎ তিনি রাস্তা বন্ধ করে ৫ লাখ টাকা দাবি করছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকের কাছে গিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকটি সালিস বৈঠক হয়। সেখানেও একটি চক্র তাঁর পক্ষ নিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে।’
এ বিষয়ে শাহিনূর বলেন‘এখানে বেশির ভাগ জমি আমাদের ছিল। ওই সব পরিবার যেসব জমি কিনেছে, সেগুলোও আমাদের বাপ-চাচার ছিল। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করেছেন। আমার প্রয়োজন হওয়ায় এখন জমিটি নিয়েছি।তাঁরা এখন রাস্তাটি বাজারমূল্যে কিনে নিলে আমি দিতে পারি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.ওসমান বলেন, ‘পুরো বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ না করতে শাহিনূর গং কে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি। তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply