সিলেট প্রতিনিধি
আবুল কিভাবে এত অল্প সময়ে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জৈন্তাপুর ও হরিপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মাথায়। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আবুল হোসেন দুই বছর আগে ও ডি আই পিকাপের হেল্পার ছিলো তার পরে জাফলং মামার দোকানে ড্রামে করে কেরোসিন নিয়ে লিটার হিসাবে বিক্রি করতো হটাৎ চোরাচালান জগতে প্রবেশ করে ভারত থেকে অবৈধভাবে চা পাতায় এনে তা তিনি সিলেট শহরে বিক্রি করতেন। এভাবেই প্রথমে চোরাচালান জগতে পা রাখেন আবুল হোসেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই গড়ে তুলেন চোরাচালান ও চোরাকারবারীদের এক বিশাল সিন্ডিকেট। এবং রাতারাতি ফিল্মের খলনায়কদের মত তিনি বনে যান চোরাকারবারীদের গডফাদার।
আবুলের আলাদীনের দৈত্য কি না দিতে পারে গাড়ি বাড়ি ও শাহ মাদার ফিলিং স্টেশন পেট্রোল পাম্পের মালিক হয়ে যান, ভারতীয় অবৈধ পণ্য পাচারের সময় তার নিজের মালিকনাধীন নোহা, প্রবক্স কার মহড়ায় থাকে বাহিনী নিয়ে। রাতভর ঐ পেট্রোল পাম্পের ভীতরে এক্সট্রা রুম রয়েছে সেখানে বসেই সিন্ডিকেট পরিচালনা করে যাচ্ছে আবুল রাত হলেই পেট্রোল পাম্পের ভীতরের মানুষের আনাগোনা সারারাতই দেখা যায়, পাশেই রয়েছে অবৈধ মাল রাখার গোডাউন তার ব্যবসায়ী পাটনারদের বাড়ি রাস্তার সাথে হওয়াতে অনেকের বাড়িতেই গড়ে তুলেছে বড় বড় গোডাউন, তার ব্যবসায় কেউ বাঁধা হলেই তার উপরে নেমে আসে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন অনেক কে প্রানে হত্যার ও হুমকি প্রধান করে, তার নাকি বড় বড় নেতা ও অসাধু প্রশাসনের কর্মকর্তা ও যখন তখন ঝা ইচ্ছা হবে তার তা করতে পারে বলেই হুমকি প্রধান করে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, সে সব সময় বলে বেড়ায় আমি প্রশাসন সহ সবাইকে চাঁদা দিয়েই ব্যবসা করি তাহলে আমার কথা শুনবেনা কেনো।
জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র আবুল হোসেন।তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর ও হরিপুর এলাকার চোরাকারবারিদের গডফাদার নামে পরিচিত ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এমন কোনো ভারতীয় অবৈধ পণ্য নেই যা আবুল ও তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিলেট শহরে প্রবেশ করছে না। বর্তমানে আবুল হোসেনের চোরাচালানের প্রধান দ্রব্য হচ্ছে ভারতীয় চিনি, ইয়াবা,ফেনসিডিল,মদ সিলেটের তামাবিল সড়ক কোন পথে আবুল হোসেন ও তার সিন্ডিকেটের সদস্য দ্বারা প্রতিরাতেই প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করছে শত শত ডিআই পিকাপ ভর্তি ও নৌকা বুঝাই ভারতীয় চিনি।
নাম না বলার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, আবুল তার ব্যবসা সঠিক রাখতে মাঝে মাঝে প্রশাসনের চাপে অন্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় অবৈধ পণ্য পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। তার সাথে কারো ব্যবসার হিসাবে উনিশ বিশ হলে রাস্তায় বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে মাল কখনো লুট করায় কখনো প্রশাসন দিয়ে আটক করায়।
তিন আরো বলেন, আবুলের মুল উদ্দেশ্য হলো তামাবিল সড়কে শুধু তার একক নেতৃত্বে চোরাচালানের ব্যবসা চালাবে। তার রয়েছে অসংখ্য কুখ্যাত বাহিনী তারা রাতভর প্রবক্স কারের ভীতরে করে মহড়ায় থাকেন। তার কথা না শুনলে,প্রশাসন বা তার কুখ্যাত বাহিনী দিয়ে মালামাল লুট করে নেয় আবুল । বাধ্য হয়ে আবুলের কথা শুনতে হয় চোরাকারবারিদের ।
সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা ও শাহপরান ( রঃ ) থানার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আবুল হোসেন প্রতিরাতেই সিলেট শহরের কালীঘাটে প্রবেশ করাচ্ছে শত শত ডিআই পিকআপ ভর্তি ও নৌকা বুঝাই শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ ভারতীয় চিনি।
নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে একাধিক চুরাকারবারিদের সাথে ফোন আলাপ করলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্ত এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা আবুলের মাধ্যমে সিলেট শহরে অবৈধ ভারতীয় চিনি এনে থাকি।
প্রশাসন এই মালগুলো ধরে না কেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে চোরাকারবারিরা বলেন ভাই, প্রশাসন তো আবুল ভাই নিয়ন্ত্রণ করে। আর রাস্তার টহল পুলিশকে গাড়ি প্রতি আগে পাঁচশত টাকা করে আমরা দিতাম এখন তা সাতশত করে দিলেই হয়।আর কালীঘাট পর্যন্ত মাল পৌঁছানোর জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুটিকয়েক নেতাকে গাড়ি প্রতি তিন হাজার টাকা করে দিলে আমাদের আর কোন অসুবিধা হয় না।
ছাত্রলীগ যুবলীগ কাদের টাকা দিতে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে চোরাকারবারি রা বলেন, ছাত্রলীগের জেলা ও আনুগত পর্যায়ের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা তাদের লাইনমানের নাম উল্লেখ না করে বলেন, আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আমরা আবুল ভাইকে বলে সবকিছু ঠিক করে দেব। আপনি চিন্তা করবেন না।
আবুল সহ কয়েকজন ব্যবসয়ায়ীকে প্রশ্ন করলে আবুল বলে পুলিশ নেতাদের ম্যানেজ করেই লাইন চালাচ্ছে এবং মিডিয়ার মুলধারার সাংবাদিকদের গাড়ি প্রতি ২ হাজার টাকা করে দেই তাদের নাম বলার কথা বললে, বলে এরা বড় বড় সাংবাদিক, বলে কথা এরিয়ে যায় আবুল।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের নাম বিক্রি করে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই বুঙ্গার ব্যবসা। এসব কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রতিবেদক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সংরক্ষিত আছে।
সিলেটে রাতের আঁধারে প্রবেশ করছে শত শত ডিআই পিকআপ ভর্তি ভারতীয় অবৈধ চিনি। এ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন স্থানীয় পত্র পত্রিকা ও স্যাটেলাইট চ্যানেল ৭১ টিভিতে প্রকাশ করলেও থেমে নেই চোরাকারবারিদের গডফাদার কুখ্যাত চোরাকারবারি আবুল হোসেনের চোরাচালান বাণিজ্য। স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন শুধু চিনি নয়, ভারতীয় চিনির বস্তার ভেতরে আবুল ইয়াবা, ফেনসিডিল ও মাদকের চালান বহন করে থাকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটে প্রবেশ করছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র শিরোনামে একাধিক দৈনিক পত্রিকায় কিছুদিন পূর্বে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এলাকাবাসীর ধারণা এসব ঘটনার সাথেও সম্পৃক্ত রয়েছে চোরাকারবারিদের গডফাদার আবুল হোসেন। এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আবুল চিনি চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদার কি না তা আমার জানা নেই, আমরা এসপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক চোরাচালান বন্ধের জন্য কঠোর অবস্থানে আছি। গত সপ্তাহে প্রায় পাঁচটি গাড়ি আটক করেছি।এবং মামলা ও দিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply