পেকুয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল্লার পরিবারের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।
(০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আহতরা হলেন, রাজাখালী ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে আবুল হোছাইন (৬১), শহর আলীর ছেলে জাকের হোছাইন (৪৫), মৃত গোলাম হোছাইন ছেলে আব্দুল জব্বার (৫০), মৃত কালা মিয়ার ছেলে জাকের হোছাইন (৫০), আমির হোছাইনের ছেলে আলী মোর্শেদ (৪৩),মৃত শহর মুল্লুকের ছেলে আব্দুল খালেক (৫০),আব্দুল জব্বারের ছেলে আয়ুব আলী (২০),শহর আলীর ছেলে আবুল কালাম (৫৫), আবুল কালামের ছেলে জিয়াবুল (১৫), আবু হানিফের স্ত্রী জোছনা আক্তার (২০),শহর আলীর ছেলে জাবের আহমদ (৩৫),।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আবুল হোছাইন ও জাকের হোছাইনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
এই ঘটনায় হামলাকারীরা হলেন, রাজাখালী ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার মৃত কালা মিয়ার পুত্র মাহমুদুল করিম (৪৫), মৃত নুরুল হকের পুত্র কবির হোছাইন(৩৫),
মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল মালেক(৪৫),
আব্দুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন (২৭),আব্দুর রহিমের ছেলে মুহাম্মদ মিয়া(২৫),মহমদুল করিমের ছেলে কবির হোছাইন (৪০),মৃত কালা মিয়ার ছেলে বাচ্চু(২৪), নুরুল হকের পুত্র আমির হোছাইন(৩০), আব্দুল খালেকের ছেলে জাকের হোছাইন(২৮), মৃত উকিল আহমদের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০),মৃত কালা মিয়ার পুত্র সিরাজ(২৮), আব্দুল হকের স্ত্রী টুনি(৪৫),কবির হোছাইনের স্ত্রী কালা বুড়ি(৩০), সহ অজ্ঞাত ৩০/৪০জন।
আহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, ইউপি সদস্য সাইফুল্লার ক্রয়কৃত, খতিয়ান ভুক্ত ১একর ৫০শতক বিরোধীয় জমিতে মাহমুদুল করিম গংকে চূড়ান্তভাবে বারিত করে গত (১৪ আগস্ট) মামলা নিষ্পত্তি করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়ামিন হোসেনের আদালত। বিষয়টি সাইফুল্লাহ মেম্বার স্থানীয় সমাজ সরদারদের বল্লে মাহমুদুল করিম গং আজ তাদেরকে আদালাতের আদেশ সহ কাগজ পত্র দেখিয়ে জায়গা বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য বলে। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউপি সদস্য সাইফুল্লাহ সহ তাঁর পরিবারের লোকজন সমাজ কমিটির মাধ্যমে আদালতের আদেশ নামা ও ডকুমেন্টস দেখাতে গেলে মাহমুদুল করিম গংয়ের নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়।এই হামলায় সাইফুল্লাহ মেম্বারের পরিবারের ১১জন সদস্য আহত হয়। এদের মধ্যে জাকের হোছাইন ও আবুল হোছাইন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন চমেক হাসপাতালে।
ইউপি সদস্য সাইফুল্লাহ বলেন,”আমার ক্রয়কৃত খতিয়ান ভুক্ত, আমার পক্ষে আদালাতের আদেশও রয়েছে। আমাকের কাগজ দেখার কথা বলে আমার স্বজনদের উপর হামলা করছে। আমি সম্পূর্ণ ন্যায়ের পক্ষে। আমি রাজাখালীবাসী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এই বিষয়ে মাহমুদুল করিম গংয়ের একাধিক জনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের সংযোগ না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
এই বিষয়ে পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত)সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply