বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি///
বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার চিহৃত যুদ্ধ অপরাধী চক্রের হোতা ভুমিদস্যু, মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী, সমাজ বিরোধী, রাজাকার বাহিনীর লিডার পুত্র যুবলীগ কর্মী শামীম হাওলাদারকে অমৃত্যু কারাদণ্ড প্রাপ্ত যুদ্ধ অপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যু কালে বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। হাজারো অপকর্মের মুল হোতাকে দল থেকে বহিষ্কার করায় স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে দেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক ও বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মোকলেছুর রহমান সহ উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে এরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে ছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যোদ্ধা কালীন সময়ের অন্যতম সংগঠক জমিদার নাটু বাবু ওদের ক্ষমা করে এলাকায় এনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্যে করেন। কিন্তু এত বড় অকৃতজ্ঞ যে সুযোগ পেয়ে সেই আশ্রায়দাতার খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িয়েই খ্যান্ত হয়নি তার মৃত্যু পরবর্তী পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে যা কিনা পুরুষ অনুক্রমে এখনো চলমান আছে।
নীতি বর্জিত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চলে সেই কর্মকান্ড জিয়ার আমলে হলো বিএনপি। আপন চাচাতো ভাই বিএনপির থানা সেক্রেটারি ছিলো সে সূত্রে এরা সবাই তখন বিএনপি করতো। তারপর হলো জাতীয় পার্টি। এর আপন চাচাতো ভাই জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি ছিলো, এর আপন মেজ ভাই টিপু তখন জাতীয় পার্টির উপজেলা যুব নেতা।
তারপর আবার খালেদা জিয়ার আমলে এরা সব বিএনপিতে যোগ দেয়। এখন বর্তমান ছ্যাঁচড়া অসাধু ভেশধারি যুবলীগ নেতার সাহায্যে হাইব্রীড। যুবলীগ নেতা বনে যান।
দলের নামে টাউটারি বাটপাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে যে কারণে দল সমাজ দেশ সরকার ধর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভবনা প্রকট হয়ে ওঠে।
রক্তে সংস্কারে রাজাকার, সমাজ বিরোধী, অত্যাচারী। অন্যর দখল করা বাড়ীতে থাকে। শুরের বাড়ীর মন্দির, সরকার বাড়ী, নাগের বাড়ী, বিশ্বাস বাড়ী, মজুমদার বাড়ী, বসু বাড়ী, গুহ বাড়ী, নাপিত বাড়ী, সহ বাজারের সরকারি সব জায়গা দখল করে আছে। এদের নিজেদের কিছু নাই। গরু চুরি থেকে শুরু করে সমাজের এমন কোন অন্যায় অপরাধ নাই যার সাথে জড়িত নয়।
শ্যামপুর এলাকায় ইদানিং জরিপ হয়েছে। সেখানেও আসল কোন কাগজপত্র দেখাইতে পারে নায়। নিজেদের বানানো ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে অবৈধ উপায়ে সব করেছে। যতো রকমের ভুয়া ডিক্রি, ভুয়া দলিল, ভুয়া রেকর্ড, ভুয়া খাজনার রশিদ, ভুয়া সরকারি ছিলছাপ্পর সবই এরা করে। ভুয়া চক্রের মূল হোতা হয়ে ও সাধু সেজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ইউনিয়নের সর্বত্র।
চিহ্নিত রাজাকারের ছেলে ইতিপূর্বে চাঁদাবাজী কেসে জেল খাঁটা আসামী। সংখ্যা লঘু এবং সাধারন গরীব মুসলিমদের উপর এদের অত্যাচার সীমাহীন। নিরীহ শশাঙ্ক স্যারের মেয়েকে মেট্রিক পরীক্ষা শেষে রাস্তা থেকে তার মা তমালি দাশ এবং খালু তপন বসুর সামনে থেকে জোড় করে তুলে নিয়ে গেছিলো। তখন সে অপ্রাপ্তবয়স্ক মাত্র ১৫ বছর বয়স ছিলো। এই ঘটনায় তিনদিন আটকে রেখে নির্যাতন করে পরবর্তীতে প্রশাসন উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে তারা এলাকা ছেলে ইন্ডিয়া পাড়ি জমান। আজও তাদের মধ্যে থেকে ভয় ও আতংক যায়নি। যজ্ঞেরস্বর, দিনেশ্বর বাবুরা এলাকা ছেড়ে বাকেরগঞ্জ বন্দরে এসে আশ্রয় নেয় আজ অবধি তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেনি এমন শতশত কাহিনীর হোতা এই পরিবারের সদস্য যখন আওয়ামী লীগের নেতা বনে যায়, স্বাভাবিক কারনেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এমনটাই স্বাভাবিক বিবেচনায় দল থেকে বহিষ্কার একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ হিসেবেই সবাই বিষয় টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। কিন্তু থেমে নেই লবিং তদবির এরইমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে দলের নীতি নির্ধারকদের বিরুদ্ধে একেরপর এক স্বরযন্ত্রে লিপ্ত। সচেতন মহলের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠছে এমন চিহ্নিত রাজাকারকে শুধু দল থেকেই নয় এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে দিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply