ওসমান গনি,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় কনকর্ড গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির বালু ভরাট কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হওয়ার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
গজারিয়া উপজেলার আনারপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মো. ফয়সাল (৩২), হোসেন (৩৫), মো. খোকন (৪৫), মো. মশিউর (২৩), লিমন (২২) ও শাওন (২০)। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জন কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এলাকায় কনকর্ড গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির জায়গায় গত মঙ্গলবার বালু ভরাট করতে যায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলমের অনুসারীরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে গতকাল দিনভর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
শাহ আলমের অনুসারীরা আনারপুরা স্ট্যান্ডে জমায়েত হতে থাকেন। তখন সাব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন ড্রেজারের পাইপ ফিটিংস করতে গেলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি সম্পর্কে ভবেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম বলেন,কোম্পানি যে জায়গাতে বালু ভরাট করতে চাচ্ছে সেখানে একাধিক মানুষের জায়গা রয়েছে যারা জমি বিক্রি করে নাই এবং সড়ক ও জনপথের জায়গাও রয়েছে । ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তার কাছে আশ্রয় চাওয়ায় তিনি সেখানে বাধা দিতে দিয়েছিলেন কিন্তু আজ তাঁর অফিসে এসে গুলি চালিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চালিয়ে তাঁর তিন চাচাতো ভাইকে গুরুতর আহত করেছে।
এবিষয়ে মারুফ বলেন, গেল মঙ্গলবার দুপুরে ভবেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহআলম ও তার সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে আমার উপর হামলা করার জন্য আনারপুরা বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান নেয়। তখন ঐ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুনরায় আজ
বুধবার সকালে আমার এখানে ড্রেজার আসার সময়। শাহআলম ও তার সমর্থকরা নদীতে ড্রেজার আটকিয়ে রাখে। পরে বিষয়টি আমি থানাকে অবগত করলে পুলিশের মাধ্যমে ড্রেজার নিয়ে আসা হয়। পরে
ড্রেজার ও পাইপ লাইন সচল করে
মুন্সীগঞ্জের চলে যাই। মুন্সীগঞ্জ থেকে মোবাইলে জানতে পারলাম পুনরায় তারা আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করেছে।
তিনি আরো বলেন, কোম্পানি আমাকে বালু ভরাটের কাজ দিয়েছে। যদি ওই যায়গায় কোন বিরোধ থাকে তাহলে তারা কোম্পানির লোকজনের সাথে ঝামেলা নিষ্পত্তি করবে। তা না করে তারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। তাদের চাঁদা না দিলে কাজ করতে পারবো না। তারাই আওয়ামী লীগ করে আমি কি আওয়ামী লীগের কর্মী না। শাহ আলম তো বিএনপির এজেন্ট, সব সময় বিএনপির লোজনের সাথে উঠাবসা।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা সোহেব আলী জানান দুপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ গত মঙ্গলবার শিল্প কারখানার বালু ভরাট এলাকায় ওয়ার্ক অর্ডার প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম সমর্থকের তর্ক বির্তক হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছিলো।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এখনও কোনো অভিযোগ পাননি।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply