নাজমা খান আরজু সিলেট থেকে:
জাফলং সীমান্তে ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ প্রশাসনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
সিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং সীমান্তের, তিন চোরাকারবারী নিয়ন্ত্রণে চলছে বিজিবি, ডিবি পুলিশ, ও থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজির, স্থানগুলো হল গুচ্ছ গ্ৰাম, লাল মাটি, আমতলা, সোনা টিলা, তামাবিল স্থলবন্দর,এলাকা দিয়ে, চিনি, চা পাতা , কসমেটিক শাড়ি, থ্রি পিস,রেহেঙ্গা,মোবাইল ফোন,মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে।
মান্নান মেম্বার, মোস্তফার, ও করিম,
এর নেতৃত্বে চলছে চোরাচালান ব্যবসা। তারা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসকল পন্য সামগ্রী নিয়ে আসছে নিরাপদে নেই কোন বাধা। এই সব এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা নিষেধ থাকলে ও নেই তাদের কোন বাধা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সাথে তারা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের চোরাচালান ব্যবসা। আর তাতে লাভবান হচ্ছেন তিন লাইনম্যান। লাইনম্যানদের নিয়ন্ত্রণে একেক সময় একেক পথ ব্যবহার করে ভারত থেকে আনা ভারতীয় পণ্য ও মালামাল দামি দামি,ব্র্যান্ডের মালামাল নিয়ে আসছে, কাটুনের ভিতরে কেউ তা খুলে দেখেন না। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে দুই লাইন মম্যানের রয়েছেন লাঠিয়াল বাহিনী তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে নারাজ। কেউ মুখ খুললে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখান এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদেরকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এই তিন লাইন ম্যান।
এলাকার সাধারণ জনতা ও সচেতন নাগরিকরা এদের কাছ থেকে রেহাই পেতে চান, প্রশাসনের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকার কারণে এই তিন লাইনম্যান দাপটের সাথে চোরাকারবারীও চোরাচালান ব্যবসীদের কাছ থেকে প্রতি কিট থেকে ৫০০টাকা করে চাঁদা আদায় ও চিনির বস্তা থেকে ৩০০টাকা করে চাঁদা আদায় করতে সক্ষম।
অল্প কয়েকদিনে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নেন এই তিন লাইনম্যান।
আর ভারত থেকে চোরাই পথে কোটি কোটি টাকার মালামাল বাংলাদেশ আসছে।আর তাতে বাংলাদেশ সরকার হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। তামাবিল ও সংগ্রাম সীমান্তের লালমাটি ,ও গুচ্ছ গ্রাম, আমতলা, সোনা টিলা, তামাবিল স্থলবন্দর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে আসছে নিরাপদে। কয়েকদিন পূর্বে ৭১ টিভি সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে চিনি সহ একটি অটো গাড়ি আটক করা হলে, লাইনম্যানের সহযোগিতায় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এবিষয়ে জানতে তামাবিল ক্যাম্প কমান্ডারের মুঠোফোনে ফোন দিলে উনি জানান এ বিষয়ে আমি অবগত নয় বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডারের মোঠুফোনে একাদিগ বার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি সেই জন্য বক্তব্য নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে গোয়ানঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম জানান আমার পুলিশদের জানিয়ে দিয়েছি ভারতীয় কোন মাল প্রবেশ করবে না ভারতীয় মাল প্রবেশ নিষিদ্ধ চোরাই পথে কোন মাল বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তা অভিযান চালানো হবে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply