ওসমান গনি,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আজ বুধবার, ১৮ অক্টোবর। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ আগস্টের কালরাতে বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য স্বজনের সঙ্গে তাকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে নরপিশাচরা।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এবার দিবসটি পালনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’।
বঙ্গবন্ধুর আদরের ছোট সন্তানের জন্মদিনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর হাইওয়ে থানা প্রাঙ্গণে ইনচার্জ এএসএম রাশেদুল ইসলাম সভাপতিত্বে ও দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার রিয়াদুল ইসলামের সঞ্চালনায়, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে এক আবেগঘন আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাইকে স্মরণ করেছেন।
আলোচনায় তিনি বলেন, ‘শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তার পবিত্র স্মৃতি। বাংলাদেশে সব শিশুর মধ্যে আজও বেঁচে আছেন শেখ রাসেল। এই শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিশু এগিয়ে আসুক।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু খুনি-ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলও। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে তাকেও হত্যা করে। রাসেল তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। শিশু শেখ রাসেলের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক। এই পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা আজ সময়ের দাবি।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভ বুদ্ধিবোধসম্পন্ন মানুষদের কাছে পরম আদরের নাম।
অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর ও তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply