মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
বিএনপি ও জামায়াতের দেশব্যাপী অবরোধের তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত চট্টগ্রামসহ সারা দেশব্যাপী। চট্টগ্রামে অবরোধে ৩য় দিনেও উত্তপ্ত! জন ভোগান্তি অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। হরতাল ও এর আগের দুইদিনের অবরোধের বিভিন্ন অঘটন মৃত্যু আহত নিহত এর ঘটনা প্রতিটি মুহূর্তে জনগণের সৃষ্টি করে হয় নিরাপত্তাহীনতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসনের ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় করা নিরাপত্তা নজরদারি নিয়ন্ত্রণে ছিল সকল সড়ক ও মহাসড়ক।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় একটি বাসে আগুন ও দুই বাস ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
আগুন ও ভাঙচুরে ঘটনার সাথে সাথেই জনমনে ভয় আতঙ্ক সহ ছড়িয়ে পড়ে এলাকা আশপাশ অঞ্চল ও সোশ্যাল মিডিয়ার সহ দেশব্যাপী। এদিগে কক্সবাজারের সাথে দেশের সব এলাকার সড়ক যোগাযোগ ছিল বন্ধ কক্সবাজার- চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছিল এরকম ফাঁকা।
হরতাল অবরোধে সাধারণ মানুষে পড়ে বিপাকে ভোগান্তি এবং হয়রানি শিকার। একদিকে গণপরিবহন না থাকা অন্যদিকে বাড়তি ভাড়া জীবিকার তাঁগিদে তাদের বের হতেই হয়। কিন্তু গণপরিবহন না থাকাই তাদের প্রাইভেট গাড়িতে অনেক ডবল ভাড়া চড়া দামে প্রাইভেট ভাড়া দিয়ে আসা-যাওয়া যা কিনা কোনভাবেই তারা মেনে নিতে পারছে না ভুক্তভোগী সাধারণ জনসাধারণ। তবে শহরে গত দুইদিন থেকে আজকে গণপরিবহন অনেকটা বেড়েছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অন্যান্য জেলার মহাসড়কে দূরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যাইনি।
চন্দ্রঘোনা-চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চন্দ্রঘোনা গণ-স্কুল এলাকায় ভোর ৪টার দিকের এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
দুর্বৃত্তরা এবি ট্রাভেলসের একটি বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং আরও দুটি বাস ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।এসময় বাসগুলো রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। তথ্য নিশ্চিত করেছেন,রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার।
বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাহে দুজ্জামান বলেন,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,পুলিশ,বিজিবি আনসার টহলদল সার্বিক নিরাপত্তায় সক্রিয় দায়িত্বে অব্যাহত রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তাদর বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই সকল পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। শৃঙ্খলা বাহিনী শুকরিয়া দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সড়ক পরিবহন জন নিরাপত্তায়।
খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় আগে রাত্রে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করায় উত্তেজনা ছিল দিনভর। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় চব্বিশ জনকে।
এদিগে অবরোধের ৩য় দিনেও কক্সবাজারের সাথে দেশের সব এলাকার সড়ক যোগাযোগ ছিল বন্ধ। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছিল এরকম ফাঁকা।কয়েকজন হোটেল মালিক নিশ্চিত করেছেন তিনদিনের অবরোধে কক্সবাজার পর্যটক শুন্য হয়ে পড়ে। কাল পরশু শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও বিরোধী দলের নতুন কোন কর্মসূচীর শঙ্কায় রয়েছেন পর্যটকরা।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply