মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে আলোচিত হলেন পুলিশ কর্মকর্তা মোজাহেদ হাসান। মোজাহেদের জন্ম অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি দ্বীপকন্যা খ্যাত কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের মুরালিয়া গ্রামে। এখন সিএমপি হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পেশায় পুলিশ হলেও নেশা গান গাওয়া। বিভিন্ন মাধ্যমে গেয়েছেন গান, গেয়েছেন চলচ্চিত্রেও।
সম্প্রতি টানেল নিয়ে গান গেয়ে ইতিমধ্যে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে না নিতেই রেলগাড়ি করে প্রিয়জনদের নিয়ে কক্সবাজারে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আবারো নিজের লেখা ও সুরে আঞ্চলিক ভাষায় নিজেই গাইলেন ” রেলত চরি বুডুর গরি- হাসসোবাজার বেড়ায় যনা” শিরোনামের একটি আঞ্চলিক গান। গানটি ইতিমধ্যে “মোজো ম্যালোডি নামক নিজেকে “ইউটিউব চ্যানেলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতু,বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে গান লিখে আলোচনায় এসেছিলেন কক্সবাজারের দ্বীপকন্যাখ্যাত কুতুবদিয়ার সন্তান মোজাহেদ হাসান। ছেলেবেলা থেকেই গান ও সুরের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা তার। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় নিজের লেখা গান গেয়েছিলেন নিজেই সুর দিয়ে। আর সেই গান গেয়ে একাধিকবার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি। সঙ্গীতে হাতেখড়ি ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর হাতে।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে গান লিখার পরিকল্পনা কিভাবে আসলো জানতে চাইলে মোজাহেদ বলেন,সুরের প্রতি অনুরাগ থেকেই তিনি রাষ্ট্রের একটু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও সুর আর স্বরকে খুব স্বযত্নেই আগলে রেখেছেন।
তাহার পিতা কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ আওয়ামীলিগের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। তার সুরের হাতে খড়ি প্রয়াত সিরাজুল ইসলাম মধুর কাছে হলেও পরবর্তীতে খালেদ চৌধুরী, সোহরাব খান, ওস্তাদ শ্রী সুরবন্ধু অশোক চৌধুরী সর্বশেষ শুদ্ধ সুরের জীবন্ত কিংবদন্তি ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কাছে তালিম নেন। তিনি কৃতজ্ঞতা চিত্তে সবার উদ্দেশ্যে বলেন ” শুদ্ধ সুর ও প্রমিত স্বরের সাথে থাকি – নিজেদের পরিবেশ মিলেমিশে সুন্দর রাখি”
এছাড়া উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘চিটাগাইংগা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া’ ছবিতে ‘ওরে ও সুন্দরী হডে তোঁয়ার বাড়ি’ শিরোনামে গান লিখেছেন তিনি। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় লেখা ওই গানের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মুশফিক লিটু। রোমান্টিক ওই দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী কনা ও মোজাহেদ।
তিনি সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে পুলিশ বাহিনীতে ২০১০ সালে বহিরাগত ক্যাডেট এস আই হিসেবে যোগদান করলেও ২০১৮ সালে পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply