পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠেছে। শনিবার বিকেলে পেকুয়ার একটি রেস্টুরেন্টে এব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে কথা বলেন উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা নুরুল আজিমের ছেলে শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, দীর্ঘ একশো বছর ধরে মগনামা সিকদার বাড়ির জমিজমা আমার পরিবারের সদস্যরা দেখে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সিকদার বাড়ির সুলতান আহমদ চৌধুরী গংয়ের প্রায় ৮০ একর জায়গা আমি দেখভাল করি। স্থানীয় মোকতার আহমদের ছেলে মনজুর আলম, রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম ও মনজুরের স্ত্রী হাসিনা বেগম আমার জমিদারের ৪০ শতক জায়গা নিয়ে নানাভাবে জামেলা সৃষ্টির পায়তারা করে আসছে। তাঁদের উদ্দেশ্য হলো আমার তত্ত্বাবধানে থাকা জিয়াবুল হক চৌধুরীর ৪০ শতক জায়গা জবর দখল করা।
শাহজাহান আরও বলেন, গত একমাস ধরে মনজুর গং সশস্ত্রভাবে একঝাঁক মহিলা লেলিয়ে দিয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। তাঁরা আমাদের সাথে ঘটনা করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে মরিয়া। আমি ও আমার পরিবার সর্বদা আইনের প্রতি সচেষ্ট ছিলাম এবং আছি। তাই তাঁরা নানাভাবে উস্কানিমূলক কাজ করলেও সে ফাঁদে পা দেয়নি। এতে মনজুর গং গত ১৪ নভেম্বর ঘটনা দেখিয়ে পরের দিন চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আসামী করা হয়েছে আমি, আমার বাবাসহ পরিবারের ৬জন সদস্যকে। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে আমরা দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মনজুর আলম গং সমাজে অবৈধ কাজের সাথে জড়িত উল্লেখ করে শাহজাহান আরও বলেন, তাঁরা মামলাবাজ একটা পরিবার। মাদক ও নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত তাঁরা। এছাড়া এ পরিবারের সদস্যরা সাবমেরিন ঘাঁটির জিনিসপত্র চোরাই সিণ্ডিকেটের সাথেও জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মগনামা সিকদার বাড়ির মরহুম জিয়াবুল হক চৌধুরীর ছেলে আশফাকুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, গত একশ বছর ধরে শাহজাহানের পরিবার আমাদের জমিগুলো দেখে আসছে। বর্তমানেও আমাদের একশ একরের বেশি জমি সে দেখভাল করে। তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালে আমাদের এক ওয়ারিশ থেকে মনজুর আলম গং ৪০ শতক জমি কিনে। পরে ২০১২ সালে তা আমি এ দলিলের বিরুদ্ধে হক সফি মামলা করি। ২০২১ সালের ১ মার্চ সে মামলায় আমি রায় পায় এবং বিজ্ঞ আদালত আমাকে জমির টাকা জমা দিতে বলেন। আদালতের নির্দেশনায় টাকা জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর জমিটি হক সফি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মালিকানা ফিরে পেয়েছি। যা পেকুয়া সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে সম্পাদন হয়েছে। কিন্তু মনজুর আলম গং আদালত অবমাননা করে এখনো জমি দাবি করে আমার কারবারিদের সাথে জামেলা করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জিয়াবুল হক চৌধুরীর ছেলে আশফাকুল হক চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক শাহজাহান ও বর্গাচাষিরা উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply