মোঃ মামুন হোসাইন।পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিকের বিরুদ্ধে বুধবার সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নিলিমা আকতার নামে এক নারী মামলা দায়ের করেছে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শককে ৭ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের সিদ্দিক মাদবরের স্ত্রী নিলিমা আকতার নামে এক নারী হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক ও বাহাদুর মল্লিক, সোহেল মল্লিক ও হানিফ প্যাদার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তবে ওই ঘটনায় ভিকটিম নিলিমা আকতার মিথ্যে চালাকি করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয় এবং বুধবার বরগুনার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক ও বাহাদুর মল্লিক, সোহেল মল্লিক ও হানিফ প্যাদার বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
তবে এ মামলাটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খান বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কালাম খানকে তদন্ত করে আগামী ৭দিনের মধ্যে আলাদলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কালাম খান বলেন, আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়া গেলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বাদী ওই নারীকে আমি চিনিই না। তার স্বামী এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওই মাদক কারবারীকে ইউপি কার্যালয়ে ধরে এনে বিচার করায়, আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এমন মিথ্যা বানোয়াট ও সম্মান হানি করার জন্য এ অভিযোগ করে আমার নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
আমি এর তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও উক্ত ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা যায় এবং অএ এলাকার লোকজন এর মুখে শোনা যায় যে, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক খুব ভালো মানুষ এবং ন্যায় পরায়ন
তাকে হেও পতিপন্ন ও সম্মান হানি করার জন্য মাধক কারাবারী সিদ্দিক মাতবর এর স্ত্রী নিলিমা
মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এই
মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য এলাকার লোকজন ও ইউনিয়ন
পরিষদের জনগণ এর তিব্র নিন্দা জানান এবং এর সঠিক তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি জানান ।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিষয়টি আমার জনা নেই।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply