মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডেকে নিয়ে যুবককে মারধর। বিচার চেয়ে মামলা করায় বাদির ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে আসামিরা। গত শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড উলানিয়ায় বাদির বসতবাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারের নারী ও শিশুরা। থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আহত যুবক মো: সোহাগ (৩০) পেশায় একজন অটোচালক। গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাড়ির সামনের সড়কে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় স্থানীয় মো: সাব্বির হোসেন (২২) মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলো। পথে মোটরসাইকেলের হর্ণের শব্দে গরু দৌড় দেয়। এতে সাব্বির মোটরসাইকেল থামিয়ে সোহাগকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। একপর্যায়ে বাকবিতন্ডায় জড়ালে সাব্বির মারধর করে সোহাগকে। পরে এ নিয়ে স্থানীয়দের সমোঝোতায় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কারণ বশত সেদিন সালিস বৈঠক হয়নি। এতে সাব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তার সঙ্গী আতিককে পাঠিয়ে উলানিয়া বাজার থেকে সোহাগকে উলানিয়া আয়শা সিদ্দিকা জামে মসজিদের পাশের রাস্তায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে আসামি সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে ৮/১০ জন যুবক মিলে সোহাগকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোহাগকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকার হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে সোহাগের ভাই রুবেল বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করে। এতে আসামি করা হয় মো: সোহাগ (২২), মো: খবির হোসেন (৩৫), ও মো: আতিক (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন। তাদের বাড়ি উপজেলার ডাকুয়া ও রতনদী তালতলী ইউনিয়নে। এই ঘটনায় মামলা হওয়ায় আসামীরা বাদির ঘরবাড়িতে হামাল করে ভাঙচুর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাঁপ দিচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবার জীবনের নিরাপত্তা ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সোহাগের মা পারভীন বেগম বলেন, আমার আদরের সন্তান, গর্ভে থাকাকালীন সোহাগের বাবা মারা গেছে। ছোট থাকতে কোলেপিঠে মানুষ করেছি। সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে মারধর করেছে, এখন সে হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যে সন্ত্রাসীরা আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা- ভাঙচুর করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত সাব্বিরের বাবা মোফাজ্জেল হাওলাদার বলেন, সাব্বির বাড়িতে নাই, সে মারধর করেছে কিনা আমার জানা নাই। তিনি আরও বলেন, এর আগে একটি নারী শিশু অপহরণ মামলার আসমী সাব্বির, সেজন্য পলাতক আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো: শাহ আলম বলেন, মামলার তদন্ত ও আসামি ধরার চেষ্টা চলছে। বসতঘরে ভাঙচুরের বিষয় বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগীরা।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply