মনজুরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ
সূর্যালোকের অনুপস্থিতি ও উত্তরের হিমেল বাতাসে নাটোরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়লে কুয়াশা কমছে কিন্তু সূর্যের মুখ না দেখা যাওয়ায় শীতের তীব্রতা কমছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তীব্র হিমেল বাতাস। সকালে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছে না। কিন্তু কর্মজীবী মানুষকে শীত উপেক্ষা করে বের হতেই হচ্ছে। শহরের রাস্তাগুলোতে লোকজন চলাচল যেমন কম তেমনি যাত্রী না পাওয়ার কারনে রিক্সা, অটোরিক্সা ও ভ্যানসহ ছোট ছোট যানবাহনের চালকরা পাচ্ছেন না তেমন যাত্রী।
ফলে তাদের আয় কম হচ্ছে। দিন মজুররা শীতে কাজ করতে পারছে না। হাত-পা শীতে জমে যাচ্ছে।
প্রচন্ড ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে নাটোর হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর সহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। নাটোর সদর হাসপাতাল সুত্র জানায় হাসপাতালের ১৩ টি বেড সংখ্যার বিপরীতে গতকাল শুক্রবারপর্যন্ত ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে ৩০ জন। বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ৪৫ জন।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, শীতকালে শিশুরা ঠান্ডা লেগে জ্বর, সর্দি, কাশি,নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে ঠান্ডা লেগে ভাইরাসজনিত পাতলা পায়খানা হতে পারে। এ জন্য তাদের সন্ধ্যার পর বা খুব সকালে ঘরে রাখার, গরম পেশাক পরিধান করা সহ সাবধানে রখার ও বিশুদ্ধ পানি পান করানোর পরামর্শ দেন তিনি। একই সাথে বয়স্কদেরও শীতকালে শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply