ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি মোঃ এনামুল হক খোকন পাটওয়ারী
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বাবার বাড়ির টয়লেট থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর গলা ও পায়ের রগ কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে ফরিদগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চর মান্দারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম—মমতাজ বেগম রিক্তা (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত এমদাদ উল্যার মেয়ে ও চট্টগ্রামের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী রাকিবুল হাসানের স্ত্রী। নিহত মমতাজ বাবার বাড়িতে থেকে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া বাজারে ‘বধূবরণ’ নামে একটি বিউটি পারলার চালাতেন।
সরেজমিনে নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মমতাজ বেগম রিক্তা ও রাকিবুল হাসানের গত ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তান নেই। গত কয়েক মাস আগেও তাঁর স্বামী দেশে এসেছিলেন। ছুটি শেষে ২ দুই মাস আগে আবার প্রবাসে চলে যান। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে মমতাজ বেগম বেশ কয়েক বছর যাবৎ বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন এবং একটি বিউটি পারলার পরিচালনা করছিলেন।
নিহতের বোনের ছেলে বাপ্পি (১৮) স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মা বেশ কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর থেকেই খালাম্মার (মমতাজ বেগম রিক্তা) কাছে থাকি। পাশাপাশি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটা মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ শিখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যার পর পারলার বন্ধ করে খালাম্মাকে বাড়িতে চলে যেতে দেখেছি। রাত ৮টা নাগাদ বাড়িতে গিয়ে খালাম্মাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে জানাই। পরে আমার এক মামাতো বোন ও মামী ঘরে ঢুকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে টয়লেটের ভেতরে কম্বলে মোড়ানো রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মাহফুজুর রহমান মামা ৯৯৯ ফোন করে পুলিশকে জানায়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকাকে বলেন, ‘রিক্তার গলা ও পায়ের রগ কাটা ছিল। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে মমতাজ বেগম রিক্তার মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি এটি একটি হত্যাকাণ্ড। মরদেহের গলায়, পায়ে ও বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply